সেবা ডেস্ক: জমি অধিগ্রহণের পর অবশেষে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। আর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হবে মে মাসে। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গণপূর্ত বিভাগ-১ এর অধীনে এ নির্মাণ পক্রিয়া শুরু হবে। এতে খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের বহুল প্রত্যাশিত খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের নির্মাণ প্রক্রীয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেলেও দীর্ঘ এক দশকে কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট সংশ্লিষ্টরা। অনতি বিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরু করে তা সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে তারা।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী খুলনায় একটি বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্র“তি প্রদান করেন। তার দেয়া প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ২০১২ সালেই হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য জায়গা খোঁজে নামে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত জুলাই মাসের উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে আবারও খুলনা বিভাগীয় সরকারি শিশু হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। দ্রুত এ কাজ শেষ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় উন্নয়ন কমিটির সভায়। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণে ডুমুরিয়ার চকমাথুরাবাদ ও বটিয়াঘাটার কৃষ্ণনগর মৌজার রূপসা বাইপাস রোড সংলগ্ন (ময়ূরী প্রকল্পের বিপরীতে) ৪ একর ৮০ শতাংশ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের এল এ শাখা এরই মধ্যে ৫২ কোটি ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে চাহিদা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দিয়েছে।
স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক হাসপাতালের ডিজাইন দিতে বিলম্ব করায় এতদিন হাসপাতাল নির্মাণের দরপত্র দিতে পারেনি গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ। তবে এখন ডিজাইনের সকল প্রক্রিয়া সম্পনের পর আগামী মার্চ মাসে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে গণপূর্ত অফিস সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় দু’টি এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে শিশু হাসপাতাল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ঢাকায় দু’টি শিশু হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। শুধু খুলনায় নির্মাণ প্রক্রিয়াটি বারবার হোঁচট খাচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ লতিফুল ইসলাম সময়ের খবরকে বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অনেক আগেই। স্থাপত্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালের ডিজাইন না পাওয়ার কারণে টেন্ডার আহ্বান করা সম্ভব হয়নি। এখন সকল প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসে টেন্ডার আহ্বান করা হবে এবং মূল কাজ মে মাসে শুরু করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, খুলনা অঞ্চলে একটি বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের প্রতিশ্র“তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে খুলনার মানুষের কাছে দিয়েছেন। প্রথমে জায়গা নির্ধারণ নিয়ে কিছুটা জটিলতা থাকলেও সবার আন্তরিকতায় অবশেষে তা নিরসন হয়েছে। জেলা প্রশাসন এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে। এখন যে কোনো সময় কাজ শুরু হবে। দ্রুত সার্বিক কাজ শেষ করার মধ্যদিয়ে খুলনায় ২০০ শয্যার হাসপাতালটি শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।