![]() |
ধুনটে যত্রতত্র এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি |
রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): নীতিমালা লঙ্ঘন করে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল। অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া পেট্রলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। কিন্ত এই আইনের তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরসহ মথুরাপুর, গোসাইবাড়ি, এলাঙ্গী, সোনাহাটা, জোড়শিমুল বাজার এলাকায় তুলার দোকান, ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের মোড়ে এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রল কিনতে পারছেন।
উপজেলার সোনাহাটা বাজারের একজন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে দু-একটা সিলিন্ডার বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। লোকজনের চাহিদা থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে এসে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।
ধুনট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতা লাল মিয়া বলেন, আইণের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বেড়ে চলেছে এই ব্যবসা। কোমল পানীয়র পুরোনো বোতলে ভরে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকানের পেট্রলের ক্রেতাদের অনেককে দোকানিরা চেনেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। দুষ্কৃতকারীদের হাতে পেট্রল চলে যেতে পারে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাঁকে লাইসেন্স নিতে হবে। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাÐসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা জানান, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকাÐে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।