
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে স্কুল ছাত্রী অপহরন মামলার হামিদ হোছাইন (২৮) নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা সাভার থানাধীন রাজ-আসন এলাকার বস্তি হতে বাঁশখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত আসামী বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ মাঝির ছেলে বলে জানা যায়।
বাঁশখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, বিগত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ উপজেলার আম্বিয়া খাতুন ক্যাডেট মাদরাসা থেকে বাড়ি যাবার পথে ওই মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ইশরাত জাহান সাদিয়া (১৪) কে অপহরণ করা হয়েছিল। ওই ছাত্রীর বাবা নাপোড়া এলাকার মীর পাড়া গ্রামের মুহাম্মদ ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত হামিদ হোসাইন ও তার বড় ভাই হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
সেই প্রেক্ষিতে বাঁশখালী থানা পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং করে ঢাকার এক ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার ও মামলার আসামী হামিদ হোছাইনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই মামলায় এর পূর্বে হামিদ হোছাইনের বড় ভাই হেলাল উদ্দিনও গ্রেপ্তার হয়েছিল। তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানা যায়।
অপহৃত ওই মাদরাসা ছাত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানিয়েছেন।ইশরাত জাহান সাদিয়া দাবি করেন, পরস্পরের সম্মতিতে তারা ৬ মাস পূর্বে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। তারা পরস্পর বিয়ের পর স্বাভাবিক সংসার করেছিলেন বলেও দাবি করেন। মামলার আসামী মুহহাম্মদ হামিদ হোছাইন বলেন, আমি অপহরণ করিনি। পরস্পর বিয়ের পর একসাথে সংসার করছিলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার এস আই নাজমুল হাসান বলেন, অপহৃত হওয়ার দীর্ঘ ৬ মাস পর তাদেরকে মোবাইল ট্রাকিং করে উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালতে দেয়া জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।
মামলার বাদি মাদরাসা ছাত্রীর বাবা মুহাম্মদ ছৈয়দ নুর বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ক্যাপশনঃ আটককৃত আপহরণ মামলার আসামী মুহাম্মদ হামিদ হোছাইন
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন