সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন বিপুল সংখ্যক উপকরণ অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে মজুদ করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ।
আটককৃতরা হলো আনোয়ার হোসেন, অমিত বসাক, শোয়াইব ও শুভ।
রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস,এম, শামীম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, তিনি তাঁর টিমসহ সন্ধ্যার পরে মগবাজার মোড়ে চেকপোস্ট ডিউটি করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে অভিযোগ করেন বাংলামোটরের এক ব্যবসায়ী ২০ টি মাস্কের মূল্য হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা রেখেছেন যদিও মাস্কগুলোর প্রকৃত মূল্য মাত্র ৩,৬০০ টাকা।
বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎক্ষণাৎ তিনি সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-রমনা) জাবেদ ইকবাল সহ রমনা ও শাহাবাগ থানার দুটি দল নিয়ে ঘটনাস্থল
বাংলা মোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি কর্পোরেশনে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন।
তিনি বলেন, এ সময় দোকান সার্চ করতে গিয়ে বিপুল পরিমান করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী পাওয়া যায় যার মধ্যে করোনা টেস্টিং কিটও রয়েছে যা বেসরকারিভাবে পাওয়ার কথা নয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার জাবেদ ইকবাল ডিএমপি নিউজকে বলেন, আটককৃতদের হেফাজত থেকে ২৭৫ পিস করোনা টেস্টিং কিট, ৯০৫০ পিস সাধারণ মাস্ক, ১০০ পিস
এন ৯৫ মাস্ক, ১৯৮ পিস পিপিই, ৯৬০ জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস, ২৫০ জোড়া চশমা, ৯০০ টি ক্যাপ, ১৪৪০ টি শু-কাভার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে।
রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম শামীম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জনজীবন যখন বিপন্ন, টেস্টিং কিট, পিপিই ও মাস্কের অভাবে ভাইরাসের চিকিৎসা সেবাদান ব্যহত হচ্ছে, ঠিক তখনই আটককৃতরা অধিক মুনাফার লোভে অতি জরুরী এসব পন্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে রেখেছেন।
শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান ডিএমপি নিউজকে জানান, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রাক্কালে জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে তাদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/২৫(বি) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।