শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর। শিলকুপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জনতার রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ইউপি সদস্য হিসেবে ২০১৭ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে শপথ গ্রহন করেন তিনি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, সিদ্দিক আকবর বাহাদুরের মরহুম পিতা আহমদ খলিল প্রকাশ কালু মেম্বার দীর্ঘ ২১ বছর একাধারে ইউপি সদস্য ছিলেন। তার মা ফাতেমা বেগম ১৪ বছর ইউপি সদস্যার দায়িত্ব পালন করেন। তার সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে স্থানীয় জনসাধারণ। বর্তমানে তিনি একজন ইউপি সদস্য। তাদের পরিবারকে ঐতিহ্যবাহী মেম্বার পরিবার বললে চলে। হাতে-গুনা খুব কম পরিবারই আছে যাদের উত্তরসূরীদের মধ্যেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাবা-মায়ের ঐতিহ্যগত জনসেবাকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ছুটে যাচ্ছেন জনগণের সমস্যায়, দুঃখ-সুখে। সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জনগণের পাশে থেকে জনগণের অধিকার নিশ্চিৎ করতে। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে তার ভুমিকা এলাকার মানুষই স্বাক্ষি। দেশের করোনা সংকটে অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকের বাড়ী বাড়ী পৌছে দিচ্ছেন ত্রাণ। নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শতাধিক পরিবারে পৌছিয়ে দেন ত্রাণ। সরকারিভাবে যৎসমান্য ত্রাণ পান তাও তিনি হতদরিদ্রদের মাঝে পৌছে দেন যথাযথভাবে। অনেক পরিবারকে নগদে অার্থিক সহযোগীতা করেছেন। তার পারিবারিক ফান্ড থেকে সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় একজন অসহায় লোক বলেন, আমাদের বাহাদুর ভাই তার মরহুম বাবার প্রতিচ্ছবি। তাকে এমনও দেখেছি, কেউ ফোন করে বলেছেন বাড়ীতে চাল নেই, উপোস থাকতে হবে! এমন খবরে বাহাদুর বলতো- দোকান থেকে আমার নাম বলে খাদ্য নিয়ে আসেন, পরে আমি টাকা দিয়ে আসবো। এভাবে অনেক দোকান সাক্ষি হয়ে আছে। অন্যায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার থেকে, গরীব মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বাহাদুর বলেন, 'আমার বাবাকে দেখেছি জনসেবা কিভাবে করতে হয়। বাবা অনেক সময় নিজের বাড়ীর জন্য করা বাজার, নিজ এলাকার অসহায় মানুষের হাতে গুজিয়ে দিয়েছেন। যে মানুষটার বাজার করার সামথ্য নেই তাকে অনেক সময় সাধ্যমত হাসি ফোটাতে চেয়েছেন বাবা। জনগণকে ভাবতেন নিজের পরিবারের সদস্য। আজীবন তিনি জনগণের সেবক ছিলেন। জনগণ সবসময় আমাদের পরিবারকে রায় দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমার তৃপ্তিটা এখানেই কাজ করে- তারা আমার পরিবারের সদস্যের মতো। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে নগন্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি।'
২০১৭ সালে ইউপি সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ, উপজেলা পরিষদের সাবেক বরাদ্দ, স্থানীয় এমপির সহযোগীতায় ও পারিবারিক সহযোগীতায় আমার ওয়ার্ডে
আমির হামজা মাঝির বাড়ির সড়ক, ত-লি পাড়া মধ্যম সড়ক, আশার-বর বাড়ির জামে মসজিদ সড়কের ব্রিকসলিং কাজ সম্পন্ন করি। মনকিচর নতুন বাজারে টয়লেট নির্মাণ, শাপলা পাড়া ত-লি জামে মসজিদের ঘাট নির্মাণ, হেড় পাড়ার দক্ষিণে নোয়া পাড়ায় ১টি টিউবওয়েল স্থাপন, ডাক বাংলো সড়কের মাটির কাজ (অাংশিক), ত-লি পাড়া জামে মসজিদ, হেডপাড়া জামে মসজিদ, হাজ্বী অছিউর রহমান জামে মসজিদ, মনকিচর নতুন বাজার জামে মসজিদ, আশার-বর বাড়ির জামে মসজিদে সুলার ব্যবস্থ করে দিই। বঙ্গবন্ধু স্কুলের পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপনল বসানোসহ বেশকয়েকটি সড়কের মাটির কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি।
আরো কিছু অসমাপ্ত কাজ আছে। সুযোগ হলেই তা দ্রুত শেষ করতে পারবো বলে জানান তিনি। আমার কাছে জনগণের ভালোবাসাটাই বড় সম্পদ।