সেবা ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণ। কোন না কোন অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে রাস্তা-ঘাট সহ হাট-বাজার, দোকানে। গোটা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তখন বাংলাদেশেও ক্রমান্বয়ে তার ব্যাপক বিস্তার ঘটতেছে।
(কোভিড -১৯) প্রতিরোধে শুরুতে ই বাংলাদেশ পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা, প্রতিরোধের উপায়, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণ কে প্রতিনিয়ত সচেতন করে আসছে।
আর এই সম্মুখ যুদ্ধে প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক ও ডাক্তারগণ।
অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাফল্যের পথে রয়েছে। বর্তমান সরকারের নানামুখী কল্যাণকামী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে আক্রান্ত অনুসারে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।
তবে এত প্রচারণা, পদ্ধতি, সচেতনতা বাড়ানোর পরও সাধারণ মানুষ সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলতে গড়িমসি করছে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী যথেষ্ট ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন-রাত চেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে লকডাউন ও পুলিশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের পরও সাধারণ মানুষ নানান অজুহাতে ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
তাদের অধিকাংশই সরকার ও প্রশাসনের নিয়মনীতি মেনে চলছে না। ফলে সংক্রমণের আশংকা বেড়েই যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ দের অভিমত, সাধারণ মানুষ যতো দিন লকডাউন মেনে না চলবে ততো দিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখা অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে।
নিরাপত্তা বাহিনীর আন্তরিকতা ও নির্ঘুম পরিশ্রমের ফলে এবং সরকারের সাহায্য-সহযোগিতার পরও জনগণের অপ্রয়োজনীয় বাড়ির বাহির হওয়াকে দুঃখজনক বলেই মনে করেন অনেকে।