কাজিপুরে জেলেদের ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ

S M Ashraful Azom
কাজিপুরে জেলেদের ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ

কাজিপুর প্রতিনিধি: কাজিপুর উপজেলার চর গ্রিশ ইউনিয়নের মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে জেলেদের  নামে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী জেলেরা।

 বুধবার ভুক্তভোগী জেলেরা সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে  উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে চরগ্রিশ ইউনিয়নের ১৩৪ জন  জেলেকে  নিবন্ধিত করা হয়। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন জেলেদের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে ৬৫ জন জেলের বিপরীতে মার্চ-এপ্রিল মাসের জন্য ৫২০০ কেজি  চাল উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন চর গ্রিস ইউনিয়নের সচিব খোরশেদ আলম।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকার করোনাভাইরাসের কারনে কর্মহীন জেলেদের দুমাসের  জনপ্রতি ৮০ কেজি চাল দেয়ার কথা। কিন্তু সেখানে ৮০ কেজি করে চাল  না দিয়ে কম দেওয়া হয়েছে । শুধু তাই নয় ২৩  জন  নিবন্ধিত জেলেকে বাদ দিয়ে নেতাদের পছন্দের লোকদের তা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী জেলে হাফিজুর, শাহীন রেজা, জয়নাল আবেদীন,সাদ্দাম হোসেন, রাসেল মিয়াসহ আরো অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নামে ত্রাণ সামগ্রী ইউনিয়নের সচিব, স্থানীয় আ.লীগ নেতা মালেক বিএসসি, সুবাত মন্ডল ও যুবলীগ নেতা রাসেল মিয়া যোগসাজশ করে ত্রাণের চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। আমরা  চাইতে গেলে ভয় ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয়।এসময় তারা আরও জানান করোনায় ঘরের বাইরে যেতে মানা। সরকার আমাদের নামে ত্রাণ দিয়েছে, সেটাও যদি নেতারা আত্মসাৎ করে তাহলে আমরা খাবো কি?

ইউপি সচিব খোরশেদুল আলম কালের কন্ঠকে বলেন,  সরকারি ভাবে ৬৫ জন জেলেকে সহায়তার জন্য ৫২০০ কেজি চাল বরাদ্ধ আসে।সেগুলো স্থানীয় নেতা মালেক বিএসসি, সুবাত মন্ডল ও রাসেল মিয়াকে বিতরণের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে ১৪ জন নিবন্ধিত জেলেকে বাদ দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে যাদের তালিকায় নাম নেই তাদের কাছ থেকে ত্রাণগুলো ফেরত নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে রাখা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মালেক বিএসসি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোন অনিয়ম করি নাই। অনেক  ধনী ব্যক্তি আছে যারা জেলে হিসেবে  নিবন্ধিত হয়েছেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রকৃতপক্ষে যারা নদী থেকে মাছ ধরে জীবন চালায় তাদের ত্রাণ  দিয়েছি। এই রকম বিতরণ করা যেহেতু  ঠিক হয়নি, তাই তাদের নিকট থেকে ত্রারেণর চাল ফেরত নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, কার্ডধারী জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য  ৫২০০ কেজি চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। ঐ এলাকা থেকে অভিযোগ এসেছে কার্ডধারীদের মাঝে ত্রাণ না দিয়ে বাহিরের লোকদের দেওয়া হয়েছে।  এটি কোন ভাবেই করার নিয়ম নেই। যারা এসব করেছে তারা অন্যায় করেছে। ত্রাণগুলো ফেরত নিয়ে কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করতে ইউনিয়ন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top