
কাজিপুরে এই নম্বরে ফোন করে ইতোমধ্যে অনেকেই সহায়তা পেয়েছেন। গভীর রাতেও কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফোনকারির বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। বিষয়টি ব্যাপক প্রচারে এলে অনেক সামর্থ্যবান বা যাদের ঘরে খাবার মজুত রয়েছে তারাও ত্রাণ চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করছে।
এদিকে ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে গিয়ে অনেকেরই ঘরে পর্যাপ্ত খাবারের মজুত দেখতে পান। এই নিয়ে ‘ইউএনও কাজিপুর’ নামের সরকারি ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্ট করে এ বিষয়ে অযথা ফোন না করতে নিষেধ করেন ইউএনও।
কিন্তু এরপরেও সরকারি ওই নম্বরে অনেকেই ফোন করছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মস্করা করে ওই নম্বরে ফোন করায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে , গত শুক্রবার রাতে কয়েকজন সরকারি ত্রাণ চেয়ে অরবরত ৩৩৩ নম্বরে কল করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাতে সরেজমিন গিয়ে তাদের অনেকের পাকা বাড়ি দেখে তিনি অবাক! পর্যাপ্ত খাবারও তাদের নিকট মজুদ রয়েছে। এমনকি ত্রাণের চাল. ডাল চিনি লবনও মজুদ রয়েছে।
এসময় ফোনকারী শুভগাছা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মৃত সাইফুল মন্ডলের পুত্র গোলাম রাব্বী, একই গ্রামের ইউসুফ উদ্দিনের পুত্র মাহমুদুল হাসান, দেলশাদ আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম, মনসুর নগর ইউনিয়নের শালগ্রামের মোকবুল হোসেনের পুত্র ফরিদ, পৌর এলাকার বেড়ীপোটল গ্রামের মৃত মোসলিম উদ্দিনের পুত্র তমেজ উদ্দিনকে আটক করে নিয়ে আসেন। পরে রাতেই আটকৃকতদের স্বজনেরা মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে নিয়ে যান।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সারাদিন দৌঁড়াদৌড়ির মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। তারপরেও ফোন পেয়ে গিয়ে দেখি তারা মিথ্যে কথা বলছেন। অনেকে শুধু মজা করার জন্যেই ফোন দিচ্ছেন।’