
সেবা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী জেরিন আক্তার।
জানা যায়, ২৪শে জুন (বুধবার) করোনার এই দুঃসময়ে বিবাহ অনুপযুক্ত মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন পৌরসভার চান্দশী গ্রামের জয়নাল। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার ৷
এ সময় তিনি তিনি উক্ত বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাল্যবিয়ে আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, বাল্যবিবাহ একটি জাতিকে রুগ্ন ও মেধাশূণ্য করে দেয়। বাল্য বিয়ের শিকার হওয়া মেয়েটি শুধু নিজেই শারীরিক ঝুঁকিতে পরে না, তার পরবর্তি প্রজন্মকেও ঝুঁকিতে ফেলে। বাল্যবিবাহ নামক এই দুরারোগ্য ব্যাধিটি দূর করার জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সচেতন সমাজ সৃষ্টি করতে পারে আলোকিত মানুষ ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত। তাই বাল্যবিবাহ রোধে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করে বাল্যবিবাহের সর্বনাশা পথ থেকে মেয়েদের মুক্তি করে কিশোরীদের আলোর পথ দেখাতে সমাজের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, আজ ২৪ জুন ঘাটাইল পৌরসভার চান্দশী দক্ষিণ পাড়া নিবাসী জয়নাল এর কন্যা জেরিন আক্তার এর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ০৮ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সে সময় তিনি আরও বলেন, আসুন মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করার লক্ষ্যে বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়ি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।