সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আসন্ন কোরবানি ঈদে ভারত থেকে পশু আনার সম্ভাবনা নেই। তবে চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পশু দেশেই প্রতিপালন হওয়ায় বাজারে পশুর সংকট ও দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া অর্থনৈতিক মন্দায় পশুর চাহিদাও কমে যাবে বলে জানানো হয়।
গত কোরবানিতে কোরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে জবাই করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ। অর্থাৎ প্রায় ১২ লাখ পশু অতিরিক্ত ছিল। চলতি বছরেও পশুর উৎপাদন ১ কোটি ১৮ লাখের মতো হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে পশুর চাহিদা কম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাশর্^বর্তী দেশ থেকেও পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন হবে না বলে জানানো হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেছেন, দেশে কোরবানির জন্য আমাদের দেশের পশুই যথেষ্ট। বাইরের পশুর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, আমাদের দেশের কোরবানির যে পশু আছে সেটিই অতিরিক্ত হবে এবার।
তিনি বলেন, এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশু কতÑ এ বিষয়ে একটা জরিপ চলছে। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিপের ফল হাতে পাব। তখন নির্দিষ্ট করে বলা যাবে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে অনেকেই কোরবানির পশু তৈরি করতে পারেননি। তাই পশুর উৎপাদনের সংখ্যা সামান্য কম হতে পারে। তবে এ কথা ঠিক পশুর চাহিদাও কম হবে এবার। অন্য সময় যে একটা গরু কোরবানি দিতেন এবার হয়তো তিনজন মিলে একটা দেবেন।
দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আনাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, দুই বছর ধরে কোরবানির জন্য বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি করা হয় না। আমাদের দেশের কৃষক ও খামারিরা যে পশু লালন-পালন করেন সেটিই যথেষ্ট। এবারও বাইরে থেকে পশু আনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
পশুর হাট জমবে কিনা এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
পশুর হাট জমানোর বিষয়টি হাট কর্তৃপক্ষের। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ইতোমধ্যে বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার সীমিত আকারে হাট বসানোর ব্যবস্থা করছেন। আমরা আশা করব, সারাদেশেই হাট বসবে এবং দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ বেচাকেনা করবে।
দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক বিধায় অনলাইনে বিক্রির পরিমাণটা অন্য বছরগুলোর তুলনায় বাড়বে। কারণ এ পরিস্থিতিতে ভিড় ঠেলে অনেকে বাজারে যেতে চাইবে না বলে জানান তিনি।
গত বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশু। কোরবানিতে পশু জবাই করা হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ। গত বছরের প্রস্তুতকৃত প্রায় ১২ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।