রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া) : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতীতে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমা ছুঁইছে। পানি বাড়তে থাকলে রাতের মধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বেড়ে বৈশাখী, রাধানগর, নিউসারিয়াকান্দি, শহড়াবাড়ি, পুকুরিয়া, কৈয়াগাড়ি, বরইতলী, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি চরের পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে চরের কৃষকেরা পানি মাড়িয়ে অপরিপক্ক কাঁচা পাট কাটতে শুরু করেছেন। কিন্ত আউশ ধান নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন মহাবিপাকে। এছাড়া চর এলাকার কিছু কিছু বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন।
নিউসারিয়াকান্দি চরের কৃষক আবেদ আলী জানান, প্রায় দেড় বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছিলেন। পাটের গাছগুলো বেশ মোটাতাজা হয়েছিল। কিন্ত যমুনার পানি বেড়ে পাটের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অপরিপক্ক পাট গাছে পচন ধরেছে। ফলে সোনালী ফসলখ্যাত এই পাট আর ঘরে ওঠবে না।
শনিবার দুপরের দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনা নদীর বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। শনিবার বেলা ৩টার দিকে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা ছুইছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে রাতেই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। প্রতিনিয়ত নদীর তলদেশে সার্ভে করা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের অবস্থাও ভালো আছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।