কাজিপুর প্রতিনিধি: গোলাম মোস্তফা। কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের এই ব্যক্তি মারা গেছেন ২০১৫ সালে। তার নামে একটি বয়ষ্কভাতার বই ছিলো, যার বই নং- ৩১৩, হিসাব নং- ৪৬। মারা যাবার পর ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বকুল হোসেন মৃত গোলাম মোস্তফার ভাতার বইটি সমাজসেবা অফিসে জমা দেবার নাম করে মৃতের স্বজনের নিকট থেকে নিয়ে নেন। কিন্তু অদ্যাবধি বইটি অফিসে জমা না দিয়ে নিয়মিত বয়ষ্কভাতা তুলে আত্মসাৎ করছেন ইউপি সদস্য বকুল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার মৃত গোলাম মোস্তফার ভাগিনা ওই ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের কোব্বাত হোসেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন যারা মারা যাবার পরে একই ভাবে ভাতা বই অফিসে না দিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ করছেন ওই ইউপি সদস্য। তারা হলেন মৃত- ছমিরণ, বই নং- ১৭ হিসাব নং-৫১, মৃত- মোকলেছার রহমান বই নং-২৫৪ হিসাব নং- ৩৮০, মৃত-ইসমাইল হোসেন, বই নং- ৪৫৯ হিসাব নং- ৫৩৫।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে জানান, “বিষয়টি দ্রæত তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরও জানান, এর আগেও ওই ইউনিয়নের দুই ইউপি সদেস্যর বিরুদ্ধে একই অভিযোগের তদন্ত হয়েছে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।