
সেবা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা চৌধুরী গ্রামে রাতের আধারে বসত ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্ত্রীর চোখ উপড়ে ফেলেছে স্বামী ফারুক হোসাইন (২০)। রোববার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আখি আক্তারের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আখি আক্তারের কাকা মো. খোকন মিয়া জানান, গত সাত বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের আব্দুল রহমানের ছেলে ফারুক হোসাইনের সাথে তার ভাতিজির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন তাদের ভাল চলছিলো। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ফারুকের বাবা বিদেশ থাকায় ফারুক ও তার মা মাদক ব্যবসা করতে থাকে। পরবর্তীতে ফারুক তার স্ত্রী আখি আক্তারকে মাদক বিক্রি করতে বললে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আখি তার বাবার বাড়ি চলে আসে। পরবর্তীতে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংশা করে আখি আক্তারকে ফারুকের বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরও ফারুক তার স্ত্রীকে মাদক বিক্রি করতে বলে। কিন্তু আখি আক্তার রাজি না হওয়া একাধিক বার সাথে সাথে ঝগড়া হয় ও একাধিকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত এক বছর আগে ফারুকের কাছ থেকে আখি চলে এসে গাজীপুরে এক গার্মেন্টস চাকুরী করতে থাকে। সেখানেও তাকে ফোন করে চোখ উপড়ে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত রমজান মাসে ফারুক গাজীপুর আখির বাসায় গিয়ে ছুরি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে আখি আক্তারকে আহত করে। ওই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় এক সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তার পরেও একাধিকবার মোবাইল ফোনে আখি আক্তারসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রোববার ভোর রাতে সিঁধ কেটে আখিদের ঘরে প্রবেশ কাচি (সিজার) দিয়ে আখির চোখে ঘা দিয়ে পালিয়ে যায়। আখির আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফারুককে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজখোজির পর ফারুককে পাওয়া যায়নি। পরে আখিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আখিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার আনোয়ার হোসেন জানান, ফারুক হোসাইন মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। মাদক বিক্রি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। অবশেষে তাকে আখি চোখ উপড়ে ফেলে স্বামী পালিয়ে যায়। এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কালিহাতী থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, গৃহবধূর পিতা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।