রৌমারীর গরুর হাটে হাটু পানি, সপ্তাহে ক্ষতি ৩ লাখ টাকা

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীর গরুর হাটে হাটু পানি, সপ্তাহে ক্ষতি ৩ লাখ টাকা

শফিকুল ইসলাম: এবার শুরু থেকেই করোনার কারণে বন্ধ ছিল রৌমারী হাটবাজার। কোরবানী ঈদের কারনে সীমিক আকারে গরুর হাটের অনুমতি পেলেও চলতি দু’দফা বন্যায় রৌমারী সদরের গরুর হাটে হাটু পানি জমেছে। এতে ইজারাদারের প্রতি সপ্তাহে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
এত বিপুল পরিমাণ ক্ষতির চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন হাটের শেয়ার হোল্ডাররা। ফলে সরকারি ইজারা মূল্য হতে ৪৬ দিন বন্ধকৃত হাটের টাকা আনুপাতিকহারে কর্তন চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন ইজারাদার।

হাটের ইজারাদার রাজু আহমেদ খোকা স্বাক্ষরিত আবেদনটি গত ১৪ জুন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দেওয়া হয়। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক পত্রমূলে জানতে পারি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য রৌমারী হাটবাজার আমি ইজারা পেয়েছি। যা ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ) থেকে শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে ৩০ মে (১৬ জ্যৈষ্ঠ) পর্যন্ত মোট ৪৬ দিন হাটবাজারসহ সকল অফিস আদালত সরকারি নির্দেশে সম্পুর্ণরূপে বন্ধ থাকে। এতে আমি ও আমার শেয়ার হোল্ডারগণ মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হই। ফলে ভ্যাট, জামানত, আয়করসহ ২ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ইজারা মূল্যমানের হাটটির ক্ষতির আনুপাতিক হার দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে ৩০ মে’র পর হাটবাজার চলেছে বিকেল ৫টা ও পরে ৭টা পর্যন্ত। এতেও গরুর হাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় পুরো হাটে হাটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় টোল আদায়ের মূল উৎস গরুর হাট অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে আমাদের। পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই ভারি বর্ষণে সুষ্ঠুভাবে হাট পরিচালনায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এতে যে হারে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছি তা বর্ণনাতীত। পদে পদে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির শিকার হলে এই প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ ভবিষ্যতে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না-সন্দেহ নেই। তাই বিশেষ করে লকডাউনের ৪৬ দিনের বন্ধকৃত হাটের প্রায় ৩৬ লাখ টাকা কর্তন করে ইজারা মূল্যে যোগ করতে জোর দাবি জানান হাট ইজারাদার ও শেয়ার হোল্ডারগণ।

জামালপুর জেলা সদর থেকে আসা ক্রেতা হযরত আলী জানান, আমি রৌমারী হাট থেকে গরু কিনে জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করি। এতে যা লাভ হয় তা কয়েকজন শেয়ার ব্যবসার মাঝে বন্টন করে নিই। ওই লাভের টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলতো। এবার করোনা ও বন্যার কারনে কিনাবেচা কিছুই করতে পারছি না।

বকশিগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের মত ব্যবসা না থাকায় খুবই বিপদে আছি।

উপজেলার চরবন্দবেড় গ্রামের গরু বিক্রেতা ওসমান আলী জানান, আমার কয়েকটি গরু রয়েছে। হাটে নিয়ে যাই আবার বিক্রি না হওয়ায় ফেরত নিয়ে আসি। এবার হাটের অবস্থা ভালো না।

এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, ইজারাদারের আবেদনখানা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে আমাকে জানানো হয়েছে যে, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও কর্তৃপক্ষ এটি নিয়ে ভাবছেন। এর পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পূর্বের নীতিমালায় হাটবাজারগুলো চলবে।


ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top