
ফয়জুর রহমান (বিশেষ প্রতিনিধি): শাহ সফি ফতেহ আলী ওরফে বাতাস। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার লংকার চর গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান।গবাদিপশু পালন, মৎস্য চাষ ও ফসল উৎপাদন করে বেশ স্বাবলম্বী এক যুবক। কৃষি খামার ও নানা ফসল উৎপাদনই তার আয় রোজগারের চালিকা শক্তি।
তিনি গবাদি পশু পালন ও মৎস্য চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। এতে এলাকার যুবকরা অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেখাদেখি এগিয়ে আসছে এ কাজে। ২০১৫ সালে মাত্র দেড় লাখ টাকা দিয়ে ৩টি গরু কিনেই শুরু করেন তার এ কর্মকাণ্ড। তিলে তিলে গড়ে তোলেন ১০ টি গরুর একটি খামার। বর্তমানে ৫ টি গরু প্রতিদিন ৩০-৪০ লিটার দুধ দেয়। এতে দৈনিক ১৫০০ -২০০০ টাকা দুধ বিক্রি করে পান বলে জানা যায়।
অপরদিকে ৭৫ শতাংশ জমির ওপর তিনি একটি পুকুর খনন করেন। এ পুকুরে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাবদা ও মলা মাছসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ ছাড়েন। পরবর্তীতে ১০০ টি হাঁস নিয়ে শুরু করেন আরেকটি খামার। তার নিজস্ব পুকুরেই সারাদিন হাঁসগুলো অবস্থান করে। রাতে আবার সেগুলো নিদিষ্ট খামারে রাখেন। পাশাপাশি পুকুরের চারিপাশে উন্নত জাতের ঘাস ও কলার চাষও করেন।
এ ব্যাপারে শাহ সফি (বাতাস) জানান, ২০১৫ সালে গবাদি পশু পালনের জন্য একটি গরুর খামার তৈরির পরিকল্পনা করি। প্রথমে ২টি দুগ্ধ গরু ও ১টি বকনা গরু নিয়ে এ খামার শুরু করি। এখন খামারে ১০টি গরু রয়েছে। গরুর গোবর ফসলি জমির সার হিসাবেও বেশ কাজে লাগছে। পাশাপাশি গরুর দুধ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমে এখন আমার ১০ লক্ষাধিক টাকারও বেশি পুঁজি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ ও গবাদিপশু পালন করে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি যুব সমাজকে বেকারত্ব দূর করতে উদ্ভুদ্ধ করছেন। অনেক বেকার যুবকের কর্মস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে এ কর্মকাণ্ডে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।