সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণের যেন ঘাটতি না হয়। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বন্যা নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বন্যায় ত্রাণসহ অন্য কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এর আগে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয় প্রান্তে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনোভাবেই মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং রিলিফের যেন কোনো ঘাটতি না হয়। বিশেষ করে নিচু এলাকা এবং চরে যারা থাকেন, তারা বাঁধের দিকে বা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসেন, স্কুলে চলে আসেন। সেখানে যেন তাদের জীবন বা খাবারের অসুবিধা না হয়। (আশ্রয়কেন্দ্রে) টয়লেট ফ্যাসিলিটি, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যেন থাকে।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে যারা কাজ করেন, মানুষের পাশে তাদের থাকতে হবে।
চলতি মৌসুমে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা বন্যার মুখোমুখি হয়েছে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল। ১৮ জেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ দুর্গতিতে পড়েছে। বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সরকারের তরফ থেকে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে যে রিলিফ অপারেশন, রেসকিউ অপারেশন—এগুলো কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।’ ডিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে প্রস্তুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন মূলত যমুনা ও পদ্মা হয়ে পানি আসছে। আমরা এটা রেগুলার মনিটর করছি।
সংশোধিত কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরো এগিয়ে নিতে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন। পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে। এটা হলে বিনিয়োগ আসবে।এছাড়া কোম্পানি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হচ্ছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিশে বোর্ড মিটিং করার বিধান ছিল, সেটাকে এখন ২১ দিন করা হচ্ছে। সচিব জানান, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর কোম্পানি আইন সংশোধন প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় তা পাশের জন্য সংসদে তোলা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।