![]() |
বাম থেকে উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিলুফা আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মন্জুর আহসান |
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পরই অস্থীরতা বিরাজ করে উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কালো ব্যাবসায়ীদের মধ্যে। সহজেই অবসান ঘটে ন্যাশনাল সার্ভিসের কেলেঙ্কারি। ধীরে ধীরে কমতে থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি। এতে উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমেও দেখা যায় দৃশ্যমান। প্রায় ৩ মাস আগেও জমে ওঠে ছিল উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংসহ নানা সভা সমাবেশ। প্রত্যন্ত এলাকায় যান তিনি। শোনেন নানা সমস্যা। সবচেয়ে দ্রæততার সাথে সমাধানের পদক্ষেপ নেন পাহাড়ি এলাকার বন্যহাতিসহ নানা সমস্যা। খাদ্য গোদাম ও কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা বিতরণ ও সমাজ সেবার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কার্যক্রমও তার নজরে। এতে অবসান ঘটেছে আগের সেই সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি। অনেকে রক্ষা পান ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে। এতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজেও প্রশংসিত হন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অর্জন করতে থাকেন আস্থা। আলোকিত হতে থাকে শ্রীবরদী উপজেলা।
এরই মধ্যে ছোবল মারে করোনা মহামারি। এই মহামারি ঠেকাতে সরকারের নানা নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যান তিনি। পাশাপাশি নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নতুন নতুন কৌশলে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করতে থাকেন। প্রতিদিন উপজেলার প্রধান প্রধান হাট বাজার, বিপনী বিতান ও বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি। এক সময় তিনি ঘোষণা দেন “মোবাইল করলেই পৌঁছে যাবে খাদ্য সহায়তা।” এছাড়াও খোলেন ভ্রাম্যমান শপিং মল। তিনি সার্বক্ষণিক অভুক্ত লোকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কখনো রাতের আধারে ছুটে যান অভুক্ত লোকের বাড়িতে। পৌছে দেন খাদ্য সহায়তা। এমনকি সাংবাদিকদের সাথেও যোগযোগ রাখেন। কোনো জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি অনিয়মে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। এতে জনপ্রতিনিধিরাও তার জন্যে থাকেন তটস্থ্য।
সাহসী যোদ্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তারের নানা কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনজুর আহসান। উদীয়মান এই কর্মকর্তা যোগদানের পর বন্ধ হয় ভূমি অফিসের নানা অনিয়ম দুর্নীতি। এছাড়াও নানা বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজার বিষয়টিও আলোচিত। এতে কমেছে গারো পাহাড়ের সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন। বাজার গুলো অনেকটাই হয়েছে পলিথিন মুক্ত। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কারণে লাগাম টেনে রাখতে হয়েছে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের। ফলে করোনা যু্েদ্ধ শ্রীবরদীতে এখনো অন্যান্য উপজেলার চেয়ে আক্তান্তের দিক থেকে অনেকটাই কম। মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রায় সর্বসাধারণের কাছে পৌাছেছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনজুর আহসান বলেন, এই দেশ ও দেশের মানুষদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। এছাড়া আমরা সরকারের নানা নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার দৈনিক কালের কন্ঠকে বলেন, করোনা একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হতে আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। আমরা চাই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না। নিজে সচেতন থাকবে। নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবে। এতে দেশ ও সমাজ সুরক্ষিত থাকবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।