কাজিপুর প্রতিনিধি: গত দুইদিনের বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ধানচাষীদের মুখের হাসি উবে গেছে। উপজেলার চর আর বিড়া অঞ্চল মিলে প্রায় পৌণে দুইশ হেক্টর জমির কাঁচা ধান পানিতে পড়ে গেছে।
এ অবস্থায় দুই তিন দিনের মধ্যে ধানগাছগুলোতে পচন ধরবে। বাধ্য হয়ে কৃষককেরা ওই ধান কেটে গো খাদ্য হিসেবে বিক্রি করছেন। বাজারে গো খাদ্যের চাহিদাও রয়েছে। রবিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা এগারটায় উপজেলার মাইজবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকেরা পানিতে পড়ে যাওয়া আধা পাকা ও কাঁচা ধান কাটছে। এসময় ধানচাষী রেজাউল করিম জানান, “বিষটি(বৃষ্টি) আর বাতাসতো সব শ্যাষ করে দিলো। এহন (এখন)এইল্লা (ধান) কাইটা আঁটি বাইন্ধা বাজারে বেচমু।”
এমনই কথা জানান উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভানুডাঙ্গার ধানচাষী আবু বক্কার। তিনি জানান, “ক্ষতি হলেও কিছু করার নাই। তবে ধানের আঁটির বাজারে দাম চড়া। আঁটি বেইচা কিছু টাকা পাওয়া যাচ্ছে ।”
এদিকে দুপুরে উপজেলার সোনামুখী হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণ কাঁচা ধানের আঁটি হাটে এসেছে। প্রতি সাত থেকে আট গোছা ধানগাছ দিয়ে একটি করে আঁটি বাধা হয়েছে। প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ আঁটি হয়। সে মোতাবেক প্রতি বিঘা জমির আঁটি বিক্রি করে তারা পাচ্ছেন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। যার ফলে কিছুটা ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারছেন। কিন্তু এতে করে উপজেলার মোট উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, “এবারে সময়মতো বৃষ্টির ফলে ধানের ফলন ব্যাপক হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিতে কিছু ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে এতে করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় তেমন হেরফের হবে না। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্যে তালিকা করা হচ্ছে।”
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।