শামীম তালুকদার: জামালপুরের বকশীগঞ্জে বন্যাদুর্যোগ পরবতী রোপা আমন ধান কাঁটা মাড়াই শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে প্রায় পোকামাকড় ও রোগ-বালাই আক্রমণ ছাড়া বেড়ে ওঠা ধানের শীষে ভরে উঠা মাঠ এখন সবুজ হতে সোনালী রং ধারণ করায় তুলনামূলক আগাম রোপণকৃত মাঠ কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে।
উপজেলার হাজারও কৃষক পরিবারের চোখে মুখে এখন স্বপ্ন পূরণের ব্যস্ততা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনও বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মাসের(নভেম্বর) মধ্যেই কাটা মাড়াই সম্পন্ন আশা কৃষি অফিসের।ধানকাটামাড়াই এ কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।।
সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি,কৃষি অফিসের তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকসহ বাজারে কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ ইত্যাদি বিবেচনায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- উপজেলায় এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫৫ হেক্টর বেশি। উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের প্রত্যাশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলার টুপকারচর পুরান গ্রামের কৃষক মোঃনান্ডা মিয়া বলেন- গতবারের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে,প্রকৃতিও ভালো যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও যাচ্ছে ভালো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অালমগীর আজাদ বলেন-সরকারী পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি।
কৃষকেরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কোনও প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।