শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ব্রহ্মপুত্রনদসহ বিভিন্ন নদী থেকে বালু উত্তোলনে অবৈধ ড্রেজার মেশিনসহ পাইপ ভেঙ্গে দিল উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারি কমিশনার ভূমি (ভার:) গোলাম ফেরদৌস র্দীর্ঘ চার ঘন্টা ব্যাপী এ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ টি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙ্গে দেয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজীবপুর থানার এসআই আনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় সাংবাদিক এশিয়ান টিভি রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা প্রতিনিধি মুরাদ ও দৈনিক দিনকালের রাজীবপুর উপজেলা প্রতিনিধি সহিজল ইসলাম সজলসহ এলাকাবাসি।
এর আগে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ব্রহ্মপুত্রনদ ও বিভিন্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্থানীয়রা বালু উত্তোলন বন্ধে একাধীকবার জানালেও প্রশাসনের টনক নড়েনি।
প্রসঙ্গত. কৃষকের আবাদি জমিতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ার কারনে বালু খেকোদের হামলায় আহত কৃষকের নামেই মামলা করা হয়। আহত কৃষক থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে উল্টা তাদের নামেই মামলা গ্রহণ করে।
বালু খেকোদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করে পুলিশ ওই মামলা গ্রহণের ঘটনায় এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উপজেলার দিয়ারার চরের ওই ঘটনায় নির্যাতিত কৃষক গতকাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।
একই অভিযোগ পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ অবৈধ ভাবে বালু তোলা শুরু করে বালু খেকো আব্দুস সবুর ও আব্দুস সালাম। চর কেটে বালু নেয়া ছাড়াও তারা আমাদের জমির তীর ঘেঁষে নদে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে।
এতে জমির মালিকরা নিষেধ করলে বালু খেকোরা পরিকল্পিক ভাবে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় চারজন কৃষক আহত হয়ে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
ঘটনার পরের দিন অভিযোগ নিয়ে ঢুষমারা থানায় গেলে ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয় ওসি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।