সেবা ডেস্ক: সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা যাকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। মানুষ সত্য মিথ্যা নির্ণয়ের মাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্রকে গ্রহণ করেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে সেই ভাবমূর্তি কি রয়েছে?
বর্তমানে আলোচিত সরকারি নথি চুরির দায়ে গ্রেফতারকৃত প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা কখনোই স্বচ্ছ ইমেজের সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ২০০৪ সালে দৈনিক সংবাদে কর্মরত থাকার সময় থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কম আসে নি। স্বামীর জন্য ঠিকাদারি কাজ নিশ্চিত করতে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ টুকুর সঙ্গে রোজিনার অনৈতিক সম্পর্কের কথা সাংবাদিক মহলে অজানা নয়। চুরির জন্য কয়েকবার অভিযুক্ত হওয়ার কথাও সংশ্লিষ্টরা জানেন।
এছাড়া সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবেদন হুবহু অনুবাদ করে নিজের নামে প্রকাশের জন্য চৌর্যবৃত্তির অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভারতীয় এক সাংবাদিক অভিযোগ তুললে বহু চেষ্টা চালিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়েও নথি চুরি করে ধরা পড়েছিলেন রোজিনা এবং মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন। এবার স্পর্শকাতর বিষয় বিধায় ছাড়া পান নি।
রোজিনা নিজেই একজন দুর্নীতিবাজ এবং বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কাজ নিয়েছেন - এমন স্বীকারোক্তি প্রথম আলোর সাংবাদিকরাই দিয়ে থাকেন। স্বামী বা সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটকে কাজ পাওয়াতে যা দরকার হয়েছে তাই তিনি করতেন। একজন উপসচিব সহ অনেকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা ওপেন সিক্রেট বিষয়ের মতো।
রোজিনা একদিকে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু এতে সীমাবদ্ধ থেকে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন নি। রিপোর্টের এই ক্ষমতা ব্যবহার হয়েছে কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয়ার জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে সমাজের নির্দিষ্ট কিছু মানুষের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া কি সুনাগরিকের দায়িত্ব? সাংবাদিক বা সুশীল সমাজ হলেই কি তারা আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন? দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে দুর্নীতি দমনের কথা বলা কি শোভনীয়? আর এক চোখ দিয়ে দেখে কি দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়া সম্ভব?
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।