বাঁশখালীত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা জমির বিরোধের জেরে নবী হোসেন চৌকিদার কতৃক হানোয়ারা বেগম নামে এক নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ২টায় বাঁশখালী উপজেলা সদরের বাঁশখালী থানাধীন লক্ষ্মীপ্লাজা, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সিএনজি স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত নবী হোসেন চৌকিদার উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বিলার বাড়ী ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত জমির আহমদের পুত্র।
এ ঘটনায় হানোয়ারা বেগম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় নবী হোসেন কে প্রধান আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানা পলিশ ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ' দীর্ঘদিন ধরে বাদী হনোয়ারার সাথে আসামী নবী হোসেন গং এর সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান।
মামলা সংক্রান্ত সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উভয় পক্ষ উকিলের কাছে হাজির হয়ে সমাধানের চেষ্ঠা করে। এক পর্যায়ে আসামী পক্ষ অমান্য করে উকিলের চেম্বার হতে বের হয়ে পড়ে।
এদিকে কোর্ট থেকে বের হয়ে বাদী পক্ষ হনোয়ারা বেগম বাড়ী যাওয়ার লক্ষ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে চৌকিদার নবী হোসেন প্রকাশ্য দিবালোকে হনোয়ারা বেগমকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
এসময় হনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।'
হনোয়ারা বেগম বলেন, 'জায়গা জমির বিরোধে বাঁশখালী বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান আছে।
এ সময় উভয়ের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উকিলের কাছে গিয়ে আসামী পক্ষ অমান্য করে কোর্ট থেকে বের হয়ে আমাকে যাত্রা পথে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক যখম করে।
আমার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরে আসামীরা আমাকে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। আমি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছি।
এমতাবস্থায় আমার ছেলে মো. ওসমানের মাধ্যমে বাঁশখালী থানায় লিখিত এজহার পাঠালাম।'
বিষয়টি সম্পর্কে বাঁশখালী থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফীউল কবির বলেন, 'ঘটনাটির বিষয়ে হনোয়ারা বেগম থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।