সেবা ডেস্ক: ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গতকাল রোববার মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে আয়োজিত দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অপতৎপরতা বন্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি/সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মের মধ্যে বিভেদ ও উগ্রবাদ তৈরি করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে, তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ তৃণমূল নেতাকর্মী, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সব ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। সমাজের মধ্যে কারা বিভিন্ন অপকর্ম, অপপ্রচার চালায় তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই কমিটি কাজ করবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং জনগণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থেকে এসব দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। হিন্দু-মুসলিমকে মুখোমুখি করে কেউ যেন দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নজর রাখতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সব সিটির মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।