কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গ্রামের এক পরিবারের জুলুম নির্যাতনে অতীষ্ঠ পুরো গ্রামের মানুষ। অন্যের জমি জবরদখলকারী ওই পরিবারের অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গ্রামের যে মানুষই প্রতিবাদ করে তার উপরই নানাভাবে জুলুম নির্যাতন শুরু করে ওই পরিবারের লোকজন।
এমনকি একাধিক মামলাতেও জড়িয়ে হয়রানী করা হয়। উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ওই পরিবারের সদস্য বকুল শেখ ও তার পুত্র বিপ্লবের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী একাট্টা হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শ্যামপুর সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাইকিং করে গ্রামবাসী একত্রিত হয়। এসময় বকুল-বিপ্লবের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি খলিলুর রহমানের পক্ষে প্রভাষক মিন্টু মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই গ্রামের বকুল শেখ ও শামসুল হকের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বকুল ও তার পুত্র বিপ্লব গত মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ৪০/৫০ জনের বহিরাগত লোক এনে শামসুল হকের নির্মানাধীন ইটের দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এসময় শামসুল হকের বাড়িতে শুধুমাত্র একজন মহিলা ছিলেন। তিনি আতঙ্কে চীৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। হামলাকারীরা শামসুল হকের একটি টিনের ঘরের বেড়ায় রামদা দিয়ে কোপায়।
ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে কেউ একজন গ্রামের মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত ঢুকেছে বলে ঘোষণা দেয়। আর ঘোষণা শুনেই বহিরাগতরা দ্রæত সটকে পড়ে। লোকজন বাইরে এসে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে পায়নি। এসময় গ্রামবাসী স্কুল মাঠে বিপ্লবের একটি পুরনো মোটরবাইক আগুনে পুড়তে দেখেন।
পরদিন এই ঘটনায় বকুল ও বিপ্লব সাংবাদিক ডেকে এনে মিথ্যে তথ্য দিয়ে পুরো গ্রামবাসীকে দায়ী করে বিবৃতি দেন। ঘটনা ঘটিয়ে বকুল ও বিপ্লব নিজেরাই হাসপাতালে গেছেন। বাইরে থেকে এখনও নানাভাবে গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অত্যাচারী ওই পরিবারের জুলুম নির্যাতন, হামলা মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে গ্রামবাসী প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সম্মেলনে গ্রাম্য মাতব্বর ইয়াকুব, আবু সাঈদ, রফিকুল ইসলাম, মাসুদ রানাসহ প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।