বকশীগঞ্জে ওএমএস’র আটা-চাল কিনতে উপচেপড়া ভিড়
🕧Published on:
|
নূরুজ্জামান খান: জামালপুরের বকশীগঞ্জে প্রণোদনার ওএমএস এর আটা- চাল বিতরণের কেন্দ্রে লক্ষ করা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বরাদ্দকৃত চাল-আটা আগত সুবিধাভোগীদের অর্ধেককে দিতেই ডিলারদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতে করে বঞ্চিতরা বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আওতায় প্রণোদনার চাল ও আটা বকশীগঞ্জ পৌর সভায় সপ্তাহে শুক্রবার বাদে প্রতিদিন কেন্দ্র প্রতি ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা সরবরাহ করা হচ্ছে।
জনপ্রতি ১৮ টাকা মূল্যে ৫ কেজি আটা ও ৩০ টাকা মূল্যে ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে।
বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিলার মেসার্স তাসনিম এন্টাপ্রাইজ এর প্রোপাইটর মো. শাহিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দরিদ্র মানুষগুলো স্বল্প মূল্যে চাল আটা কিনতে ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। এতে করে লম্বা লাইনে তাদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত চাল –আটা দ্বারা লাইনের অর্ধেক মানুষকেও বিতরণ করা যায় না। ফলে প্রতিদিন অনেক লোক চাল আটা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বকশীগঞ্জ পুরাতন গরুহাটিতে অবস্থিত মেসার্স তাসনিম এন্টারপ্রাইজের বিতরণ কেন্দ্রে চাল আটা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ। এ সময় হাতে কাম কাজ কম। আয় ইনকামও কম। বাজারে চাল আটার দাম মেলা বেশি। তাই চাল আটা কম দামে নিতে আছি। যদি আমাদের জন্য বেশি বরাদ্দ হইতো, তাহলে ভালো হয়।’
চাল আটা নিতে আসা আরও এক মহিলা সরকার কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, করোনাকালে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষরা বাজার থেকে চাল-আটা কিনে পেট চালানোর অবস্থায় নেই। এমন খারাপ সময়ে সরকার আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে অর্ধেক মূল্যে চাল-আটা দেওয়ায় আমরা এখন পেট পুড়ে কিছু খেতে পারছি। তবে বরাদ্ধ কম থাকায় আমাদের মতো অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ চাল-আটা না পেয়েই চলে যাচ্ছে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।