‘বাংলা ভাষায় উচ্চ শিক্ষা: সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
🕧Published on:
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’ এর অধীনে পরিচালিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘বাংলা ভাষায় উচ্চ শিক্ষা: সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনার জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শংকর কুমার মল্লিক, ট্রাস্টি, গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্ট। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড. মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।
প্রাবন্ধিক শংকর কুমার মল্লিক তাঁর বক্তৃতায় উচ্চ শিক্ষা বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো রাষ্ট্র খুজে পাওয়া যাবে না যারা মাতৃভাষাকে উচ্চশিক্ষার বাহন না করে উন্নতি করেছে। কেবল বাংলাদেশেই আমরা উল্টো দিকে হাঁটছি। তিনি এই জন্য আমাদের ঔপনিবেশিক মননকে দায়ী করেন। বাংলা ভাষাকে উচ্চ শিক্ষার বাহন করার বিপক্ষে যে ধরনের যুক্তি সাধারণত প্রচলিত আছে সেগুলোর জবাব দেন, এবং দাবি করেন, উচ্চ শিক্ষায় মাতৃভাষা থাকবে কিনা সেটা রাজনীতি-নিরপেক্ষ নয়, বরঞ্চ সেটা আদতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, শ্রেণি-প্রশ্ন এখানে লুকিয়ে আছে।
সভাপতির ভাষণে ড. মুনতাসীর মামুন সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর আহŸান জানান। তিনি বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের অন্যতম চেতনা হচ্ছে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও চালু করা। যে কোনো মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পেতে গেলে অবশ্যই অফিস আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সেই ভাষার প্রচলন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল, এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি আপনার সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।