নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক পুনরুত্থান পত্রিকার চিফ রিপোর্টার (প্রধান প্রতিবেদক), আজকের তাজা খবরের বার্তা প্রধান ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে অপপ্রচার ও ফেসবুকে গ্রেফতার গুজবের ঘটনায় নন্দীগ্রামের কথিত সাংবাদিক (অশিক্ষিত ব্যক্তি) নাজমুল হুদাসহ ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) থানায় জিডি (নং ১০৬৭) করা হয়েছে।
সাংবাদিককে গ্রেফতার গুজবের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ সংবাদকর্মীরা সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সাংবাদিক নেতারা বলছেন, এই অপপ্রচার শুধু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা হয়নি, গ্রেফতার গুজবটি থানা পুলিশকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিক নজরুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তাকে গ্রেফতারও করা হয়নি। অপপ্রচারের বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার প্রেসক্লাব চত্বরে দিনব্যাপি সাংবাদিকদের সংবর্ধণা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের পর থেকে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে কতিপয় ব্যক্তিরা অপপ্রচার করছে। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের নন্দীগ্রাম নামের ফেসবুক গ্রæপে একটি ফেক আইডির মাধ্যমে সাংবাদিকের ছবিসহ ছিনতাই মামলার আসামী উল্লেখ করে এবং তাকে পুলিশ গত বুধবার গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে বলে গুজব ছড়ানো হয়। অথচ সাংবাদিক নজরুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। অপরাধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকের কৌশলী কথপোকথনের একটি ফোন রেকর্ডও ছড়িয়েছে অপপ্রচারকারীরা। একইভাবে ২০১৬ সালে এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর ঘটনায় কথিত সাংবাদিক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়। (জিডি নং ৭০২/১৬, তারিখ ০৫/১০/২০১৬)। এই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারীর শ্লীলতাহানী, লুটপাট সহ নানা অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। সে নিজেকে যুবলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দিলেও বিএনপি সরকার আমলে তৎকালিন জামায়াতের আমীর খোরশেদ আলীর বাসার ছাদে জামায়াতের দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, ইতিপূর্বে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নন্দীগ্রামের কথিত সাংবাদিক নাজমুল হুদার (৪৬) বিরুদ্ধে জিডি করেছিলেন তৎকালিন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও বর্তমানে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আকিবুল ইসলাম। দুই বছর থানায় প্রবেশ করতে পারেনি কথিত সাংবাদিক নাজমুল হুদা। বেতনভুক্ত কোনো চাকরি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও (ইনকাম সোর্স নেই) সে নিজেকে কথিত প্রেস ক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সুযোগ বুঝে গুজব ছড়ায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে গুজব ছড়ানোর ঘটনায় উপজেলা পরিষদের সামনে এই কথিত সাংবাদিককে গনপিটুনি দিয়েছিলেন তৎকালিন চেয়ারম্যানের লোকজন। নাজমুল হুদার পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করারও প্রমাণ মেলেনি। কোনো ইনকাম সোর্স নেই, প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট-বড় অপরাধের ঘটনা ঘটলে খবর পেয়েই সবার আগে ছুটে যায় নাজমুল হুদা। ভয়ভীতি দেখিয়ে কথিত প্রেস ক্লাবের সভাপতি পরিচয়ে নেন বখরা। জমিজমা, পুকুর ও মারপিট সংক্রান্ত ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করলেই কথিত এই সাংবাদিকের দৌরাত্ম লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ধান্দায় নির্ভর নাজমুল হুদা। নন্দীগ্রাম সদরের মাঝগ্রাম পুরাতন সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় বসবাসকারী (স্থায়ী বাসিন্দা নন) নাজমুল হুদার পিতার নাম মৃত মোত্তালেব। কথিত এই সাংবাদিক এক সময় সাংবাদিকদের বার্তা বাহক ছিলেন। অমানবিক সন্তান নাজমুল হুদা। তার নিজের মা মানসিক রোগী ছিলেন। দিনরাত রাস্তায় এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় যাত্রী ছাওনিতে পড়ে থাকলেও খোঁজখবর রাখতেন না। অথচ মায়ের চিকিৎসার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিতেন। এনিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তৎকালিন থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন নিজ অফিসে সাংবাদিকদের ডেকে রেজুলেশনের মাধ্যমে নাজমুল হুদার উপস্থিতিতে তার মায়ের চিকিৎসা সহায়তা ফান্ড করেন। এছাড়া ইতিপূর্বে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর ঘটনায় নাজমুল হুদা ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান। তাজা খবরের সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবির মধ্যস্থতায় উপজেলা প্রেস ক্লাবের তৎকালিন সভাপতি ফজলুর রহমান, বর্তমান সভাপতি মো. বকুল হোসেন, সাংবাদিক আলী আজমসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক নজরুলের কাছে ক্ষমা চায় কথিত সাংবাদিক নাজমুল হুদা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।