নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক যুবতীকে গণধর্ষণের মামলায় পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সুমনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে তাদেরকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা- পৌর সদরের কলেজপাড়ার আশরাফুল ইসলাম সুমন (২৬), হযরত আলী (৩৬) এবং রিধইল গ্রামের কথিত সাধু কবিরাজ শাহাদত হোসেন (৪২)। গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে কিশোর গ্যাং ও একটি সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ জানিয়েছে, শেরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী যুবতীর (২১) সাথে নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে সাধু কবিরাজ শাহাদত হোসেনের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ওই যুবতীর সঙ্গে শাহাদতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহাদত বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম নিয়ে আসেন। রাত ১০ টার দিকে যুবতীকে নন্দীগ্রাম সদরের কলেজপাড়া এলাকার শেষ সীমানায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে ছিল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। যুবতী ও শাহাদতকে ধরে তারা পাশের ইউক্যালিপটাস বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সুমনসহ দুইজন অপেক্ষা করছিল। এসময় ওই কিশোরীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে কিশোর গ্যাংয়ের রাকিব, মনির ও বিজয় নামের তিনজন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বলেন, ধর্ষিতার জবানবন্দী এবং গ্রেফতারকৃত ৩ জনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।