কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : স্বামীকে হারিয়েছেন এক যুগ পূর্বে। সেই থেকে ছেলে আর ছেলের বউয়ের গলগ্রহ হয়ে আছেন সংসারে। চিকিৎসায় জোটেনা ওষুধ পথ্য। যাকাতের কাপড়ে সারা বছর পার করেন। এরপরেও খেতে চাইলে জোটে নানা গালাগাল। এরপরেও উপায় না থাকায় ছেলের বউয়ের মর্জিমত খাবারে বেঁচে আছেন অশীতিপর ছেবাতন বেওয়া। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ী গ্রামের ছেবাতন বেওয়া ক্ষুধার জ্বালা আর ছেলে-ছেলের বউয়ের জুলুম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আজ( ২৬ মে) সকাল সাড়ে দশটায় কাজিপুর থানায় যান।
থানা ক্যাম্পাসে বৃদ্ধাকে দেখে নিজের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন কাজিপুর থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত(পিপিএম)। বৃদ্ধাকে তিনি নিজের কক্ষে নিয়ে বসান। এসময় ক্ষুধায় ছটফট করছিলেন ওই বৃদ্ধা। তৎক্ষনাৎ ওসি ওই বৃদ্ধার জন্যে খাবার নিয়ে এসে খেতে দেন। থাবার শেষে শোনেন কিভাবে ছেলে আর ছেলের বউয়ের অত্যাচার সহ্য করে ওই সংসারে পড়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। সব শুনে তিনি কাজিপুর থানা পুলিশের একটি টিমকে ওই বৃদ্ধার বাড়ি স্থলবাড়িতে পাঠান। এর আগে ছেবাতনকে তিনি একটি শাড়ি ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
কাজিপুর থানার পুলিশ টিম বৃদ্ধা মহিলাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তার ছেলে আসাদুল ইসলাম এবং ছেলের বউ চুম্বলী খাতুনকে সতর্ক করে দেন।এদিকে পুলিশের উপস্থিতি দেখে চমকে যান ছেবাতনের ছেলে আসাদুল ও তার স্ত্রী চুম্বুলী খাতুন। তারা বৃদ্ধা মায়ের সাথে আর কখনও খারাপ আচরণ ও ভাত কাপড়ের কষ্ট দেবেন না বলে থানা পুলিশের নিকট কথা দেন।
কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত(পিপিএম) জানান, অসহায়কে সহায়তা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব।কষ্ট পেয়েছি এই বয়সেও ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে হয় ওই বৃদ্ধা মাকে। জানামাত্র ওই মাকে সামান্য সহায়তা করেছি এবং যাতে সংসারে আর কষ্ট তিনি না পান সে বিষয়ে তার ছেলেকে সতর্ক করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।