সেবা ডেস্ক : এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজধানী ঢাকায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। বৈদ্যুতিক এই পরিবহনে দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে।
স্টেশনের দ্বিতীয় তলার কনকোর্স হলে রয়েছে ডিজিটাল টিকিট কাউন্টার। সেখান থেকে এবং সেখান থাকা মেশিনে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। সিঙ্গেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কেটে নিতে হবে।
যাত্রা শেষ হওয়ার পর সেই টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে বের হতে হবে। টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রীর পক্ষে স্টেশন থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না।
এমআরটি পাসের (পার্মানেন্ট জার্নি) জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টিকিটের ব্যালেন্স শেষ হলে পুনরায় রিচার্জ করে নিতে হবে। সিঙ্গেল জার্নির মতো এই জার্নির ক্ষেত্রে টিকিট স্টেশনে জমা দিতে হবে না। টিকিট সঙ্গে করে নিয়েই স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন যাত্রী।
টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। এরপর সিঙ্গেল নাকি পার্মানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট কিনতে চাচ্ছে সেটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর আসবে যাত্রীর গন্তব্যের তালিকা। যাত্রী কোন স্টেশনে যেতে চায় সেই গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর কয়টি টিকিট কাটবে তার সেই তথ্য দিতে হবে।
সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী এক যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে।
এছাড়া টিকিট সংগ্রহের জন্য আরো দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলে টপআপ ও মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি ম্যানুয়াল কাউন্টারও রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।