নন্দীগ্রামে জমিতে পুকুর খননের অপরাধে দুইজনের কারাদন্ড

S M Ashraful Azom
0

 : বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবাদি জমিতে পুকুরখননকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুইজনকে আটকের পর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এস্কেভেটরের দুই চালককে একলাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। ঘটনাস্থল থেকে এস্কেভেটরের ব্যাটারি ও চাবি জব্দ করা হয়।

নন্দীগ্রামে জমিতে পুকুর খননের অপরাধে দুইজনের কারাদন্ড



 গত বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের পারশুন স্কুল ও বাজারের পশ্চিমপাশে এক প্রবাসীর আবাদি জমিতে পুকুর খননকালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। 

দন্ডিতরা হলো- লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানার নিজ শেখসুন্দর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮) ও একই থানার নিজ গড্ডিমাড়ি এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মনির হোসেন (২৫)। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করেন নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। 

এসময় উপস্থিত গ্রামের অর্ধশত জনতার প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ধানী জমিতে কেউ পুকুরখনন করবেন না। উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জমিতে পুকুরখনন করার তথ্য পেলেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতের আঁধারে চলছিল পুকুরখনন কাজ। খবর পেয়ে রাতেই অভিযানে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টেরপেয়ে মাটি বহনকাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ট্রাক্টর নিয়ে চালক ও ঠিকাদার পালিয়ে গেলেও এস্কেভেটরের দুই চালককে আটক করা হয়। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দন্ড দেওয়া হয়। 

সরকারের নিয়মনীতি না মেনে পারশুন স্কুল ও বাজারের পশ্চিম পাশে এক প্রবাসীর স্ত্রী তাদের জমিতে পুকুরখননের জন্য সিংড়ার এস্কেভেটর ঠিকাদার শামীম এবং পারশুন পারঘাটার হযরতকে টাকা ও মাটি চুক্তিতে কাজ দেয়। সেখানকার মাটি নিয়ে গিয়ে আশপাশের আবাদি জমি ও পুকুর ভরাট করার পাশাপাশি গ্রামের লোকজনের বাড়ির উঠানে দেওয়া হচ্ছিল। গত চারদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে পুকুরখনন করে প্রত্যেক ট্রাক্টর মাটি ৪শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করে। প্রশাসনের কঠোরতায় দিনের বেলা এস্কেভেটর ও মাটি বহনকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ওই জমিতে থাকলেও ঠিকাদার ও জমির মালিক পক্ষের কাউকেই দেখা যায় না। রোপা আমন ধান কাটা শেষে না হতেই গতবারের ন্যায় এবারো আবাদি জমিতে এস্কেভেটর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। আবাদি জমিতে পুকুরখননের পাশাপাশি এবার পুকুর সংস্কারের নামেও গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সেইসব মাটি দিয়ে আবাদি জমি ভরাট করা হয়। এতে ফসলি জমি কমছে। সরকারের নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচল করায় সরকারের কোটি টাকায় নির্মাণকৃত সড়ক ও রাস্তাগুলো বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে। মাটি পরে রাস্তা নষ্ট হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিরব। 

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, আবাদি জমিতে পুকুরখননের অপরাধে এস্কেভেটরের দুই চালককে একলাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। 



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top