নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিবেদক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ। যে কারণে মিথ্যা অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের রহমতুল্লাহ ওরফে টুপিওয়ালার ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে কালু রহিমের মিথ্যা অভিযোগ থেকে ওই সাংবাদিককে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন।
রহিমের সাজানো অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার দিন এবং সময় সাংবাদিক নজরুল শুধু ঘটনাস্থলেই নন বগুড়া জেলাতেই উপস্থিত ছিলেন না। ওইদিন তিনি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে তার বক্তব্য ৭১ টেলিভিশন প্রচার করে। ওইদিন তিনি কর্মরত পত্রিকা অফিসেও যান।
গতকাল রোববার অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত করে তার সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদী রহিম অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সাংবাদিককে অব্যাহতির আবেদন করে নন্দীগ্রাম থানার নন-এফআইআর প্রসিকিউশন গত ২৪ এপ্রিল আদালতে দাখিল করা হয়।
কৈগাড়ী গ্রামে সাংবাদিক পরিবারের ৯০ শতক সম্পত্তি জবরদখলে ব্যর্থ হয়ে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার কুপরামর্শে মিথ্যাচার করে সম্মানহানি, প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং হয়রানি করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয় বলে দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিক নজরুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে কৈগাড়ীর রহিম। এমনকি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও মিথ্যাচার করে। পরদিনই সাংবাদিকের পিতা আব্দুর রাজ্জাক নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। রহিমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করায় সাংবাদিক পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
শুধুমাত্র সম্পত্তি জবরদখলের জন্য টাকার বিনিময়ে প্রভাব বিস্তার করাসহ একটি খাসিভোজ আয়োজনের পর রহিমকে ওয়ার্ড যুবলীগের পদ দেওয়া হয়৷ এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করেনি। কোনো পক্ষকেই সাপোর্ট দেওয়া বা হয়রানি করা হয়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।