শফিকুল ইসলাম : জিঞ্জিরাম নদীতে ব্রীজ না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে ১৩ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ড্রাম দিয়ে ভাসমান ব্রীজ তৈরি করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার এলাকাবাসি। পারাপার হতে গিয়ে চরম দূর্ভোগের শীকার হচ্ছে এলাকার মানুষ।
এদিকে ব্রীজের দাবীতে এলাকাবাসি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়েও কাঙ্খিত ফল পাননি তারা। জনপ্রতিনিধিরা ভালো মানুষ সাজেন ভোটের আগে ।ভোট শেষ হলেও প্রতিশ্রæতি দিলেও কোন কথা বজায় রাখেন না তারা। ফলে ১২মাসেই তাদের যেন দূর্ভোগের শেষ নেই।
এ ছাড়াও ওই এলাকায় রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কৃষিপণ্য ও অসুস্থ্য রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও এখানে নির্মিত হয়নি একটি ব্রীজ। ফলে এলাকাবাসি অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রামে ড্রামের ভাসমান ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারপার হতে হচ্ছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘের হাট এলাকার বাজার সংলগ্ন বাগের হাট এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে জিঞ্জিরাম নদী। নদীর দুই পাড়ে চলাচলের রাস্তা থাকলেও জনৈক ইসরাফিলের বাড়ী সংলগ্ন নদীতে ব্রীজ না থাকায় তেকানিগ্রাম, ঝগড়ারচর, চেংটাপাড়া, কাউয়ারচর, চরবোয়ালমারী, চরেরগ্রাম, ধর্মপুর, ঝগড়ারচর ও ডাঙ্গুয়াপাড়াসহ ১৩ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ভাসমান ব্রীজ থেকে পানিতে পড়ে ডুবে যায়।এতে দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন অনেকেই। এর আগে এলাকাবাসির সহযোগিতায় কয়েকবার বাশের সাকোঁ নির্মাণ করে পারাপার হতেন। এতে রৌমারী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়ে। বর্তমানে উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ভাসমান ব্রীজ। এই ড্রামের ভাসমানা ব্রীজ দিয়ে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ধান, পাট,ভুট্টা,গম ও কলাই, শাকসবজি বাজারে আনা নেওয়ার সমসা হচ্ছে। সেই সাথে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪০ হাজার লোকজন যাতায়াত করেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে।
ওই এলাকার স্কুল শিক্ষার্থী মানিক মিয়া বলেন, জিঞ্জিরাম নদীতে ব্রীজ না থাকায় ভাসমান ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপর হয়ে স্কুলে যাচ্ছি। তা ছাড়া পারাপার হলেই ৫ টাকা করে মাঝিকে দিতে হয়।
চেংটাপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসির সহযোগিতায় এই নদীর উপর একটি ড্রামের ভাসমান ব্রীজ দেওয়া হয়েছে। এই ব্রীজ দিয়ে সবাই যাতায়াত করতে পারলেও অনেকেই পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়।
বাগেরহাট গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, ব্রীজ না থাকায় এখানকার সকল পেশাজীবি মানুষের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়েছে। আমি ব্রীজের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষ খুব কষ্টে যাতায়াত করছে। কয়েকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি এবং প্রকৌশলীকেও বিষয়টি একাধীকবার জানিয়েছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, বাঘেরহাট জিঞ্জিরাম নদীর উপর ৮০ মিটার ব্রীজের জন্য প্রতিমন্ত্রীর ডিও লেটারসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট কাগজ পত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রæত হয়ে যাবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।