[১৪৮১] কাজিপুরে পানিতে ভাসছে রোপাধানসহ ১৭ হেক্টর জমির ফসল
🕧Published on:
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ক্ষেতের পাকা রোপা আমন ধান, সবজি ও মাসকলাইয়ের ক্ষেত। এতে করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেক কৃষক ক্ষেতের পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। কিন্তু রোদ না থাকায় সেইধান মাড়াইয়ের কাজ করা ও সম্ভব হচ্ছে না। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি এবং মাষকলাইয়েরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে , চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার একশ হেক্টর জমিতে রোপা আমণ ধান, ৪শ ৩০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই এবং ৩শ ৬০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এরইমধ্যে আগাম জাতের রোপা আমণ ধান কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষক। চলতি মাসের শুরু থেকে পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু গত চারদিনের টানা বর্ষণে খাল বিল নদীর অববাহিকাসহ নিচু জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এরফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেক কৃষক পানির মধ্য থেকেই পাকা ধান কেটে সংগ্রহ করছেন। কিন্তু রোদ না থাকায় সেই ধান মাড়াইকাজও করতে পারছেন না। উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের কৃষক এনামুল হক ইছামতি নদীর অববাহিকায় পাঁচবিঘা জমিতে রোপা আমণ ধান লাগিয়েছিলেন। এরইমধ্যে ধান পেকেছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাটতে পারছেন না। অতিবৃষ্টিতে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ধানের শীষ পানিকে ভেসে রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে তিনি সেইধান কেটে পানিতে ভাসিয়ে ডাঙ্গায় নিয়ে আসেন। এতে করে তার খরচও বেড়ে গেছে। আর রোদ না হলে সেইধান মাড়াইও সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, যদি ক্ষেত থেকে পানি তাড়াতাড়ি না নেমে যায় তাইলে সব ধান পইচা যাইবো গা।
তেকানি চরের মাষকলাই চাষী রহিম মিয়া জানান, নিজের দুই বিঘা আর বর্গা নেয়া চারবিঘাসহ ছয়বিঘা জমিতে মাষকলাই ছিটাইছি। চারাগুলেও গজাইছে। কিন্তু বিষটির পানিতে সব তলাইয়া গ্যাছে। তাড়াতাড়ি পানি না নাইমলে সব নষ্ট হয়া যাইবো।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, দুইদিন নিমজ্জিত থাকলেও ধান সংগ্রহ করা যাবে। বৃষ্টি কমে গেলে সবজি ও মাষকলাই কিছু রক্ষা পাবে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।