রৌমারীতে গাছ বিক্রয়ের টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে

S M Ashraful Azom
0

 : সরকারী ৬টি বড় গাছ প্রকাশ্যে নিলামের আগেই গোপনে কর্তন করায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবক এর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রৌমারীতে গাছ বিক্রয়ের টাকা প্রধান শিক্ষকের পকেটে



শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ী সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এনিয়ে একাধীক ব্যক্তি ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ী সরকারী প্রথমিক বিদ্যায়লয়ের সীমানায় ২৫/৩০ বছর আগে প্রায় ৫০টির মতো ইউক্লিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন। সম্প্রতি প্রধান প্রধান শিক্ষক আবু জাফর বুলবুল ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আঞ্জুমানআরা এর যোগসাজসে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে একটি রজুলেশন করে গাছগুলি বিক্রয়য়ের জন্য আবেদন করেন প্রধান শিক্ষক। তৎকালিন ইউএনও দীপঙ্কর রায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তহশিলদার রজব আলীকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে একই সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাসে ইউএনও’র নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের আলোকে রেজুলেশন না করে এবং প্রকাশে গাছ বিক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই মুল্য নিধারন না করেই নামমাত্র ৪০ হাজার টাকা মুল্য দেখিয়ে বিক্রয় করেন। প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতির বিষয়টি গ্রামবাসিরা জানতে পারেন এবং গাছগুলো কাটতে বাধা দেন। একপর্য়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবীতে এলাকাবাসি বিক্ষোভ ও মানববন্দন পড়েন। এতে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ শিজন, ডাক্তার আমিনুল ইসলামসহ অনেকেই। তারা বলেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যনেজিং কমিটির সাথে আলোচনা না করেই গোপনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা মুল্যের গাছগুলো মাত্র ৪০ হাজার টাকায় বিক্রয় দেখান। যা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা নেই। ইতিপূর্বে প্রধান শিক্ষক একই কায়দায় বেশ কয়েকটি গাছ কাটেন ও বিক্রয় করেন। এছাড়াও স্কুলের নানান খ্যাতের সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেন বলেও তারা জানান।

 বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর বুলবুল বলেন, ২/৩ আগে নিয়ম অনুয়ায়ী রেজুলেশন করে আবেদন করি। পরে তহশিদার তদন্ত করে গাছগুলো ছোট হিসেবে কাটার জন্য না করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেহেতু গাছগুলো বড় হয়েছে তাছাড়া স্কুলের আসবাবপত্র তৈরি লক্ষে এ গাছগুলো ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি।

এবিষয়ে বনবিভাগ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আমি কোন কিছু জানিনা।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঞ্জুমানআরা জানান, স্কুলের চেয়ার-টেবিল বানানো হয়েছে। গাছ বিক্রি করে সেই টাকা পরিশোধ করা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, গাছগুলো প্রধান শিক্ষক কেন কাটছে?। নিলাম ছাড়া কোন গাছ কাটতে পারেন না। যদি কেটে থাকেন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top