সেবা ডেস্ক: প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, ১২ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪.৫২ বিলিয়ন ডলার পৌঁছেছে। তবে আইএমএফের শর্ত অনুসারে, প্রকৃত রিজার্ভ ১৯.২১ বিলিয়ন ডলার, যা মাসের শুরুতে ছিল ১৮.৬২ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ মূলত প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক ঋণের মাধ্যমে তৈরি হয়। আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের বেতন ইত্যাদির জন্য বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার করে রিজার্ভ কমে যায়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় কমেনি, ফলে ডলার সংকট অব্যাহত রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে, যার সাথে কিছু নীতি সংস্কার এবং শর্ত জড়িত ছিল। আইএমএফের ঋণের শর্তানুসারে, প্রকৃত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা জুনের শেষে ২০.১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৪.৭৬ বিলিয়ন ডলারে আনা হয়েছে।
এছাড়া, চলতি অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি দায় মেটাতে ১৪.৯৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৪.৯৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। ১১ মাসে নিট বিক্রির পরিমাণ ৯.৮০ বিলিয়ন ডলার।
জুন মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রবাসীরা ১৪৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। মে মাসে প্রবাসী আয় ছিল ২২৫ কোটি ডলার, যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, রিজার্ভের স্থিতিশীলতা এবং প্রবাসী আয়ের ভূমিকা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ সংরক্ষণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।