সেবা ডেস্ক: কারি পাতা আমাদের প্রায় অনেকের কাছে রান্নার উপাদান হিসাবেই বেশি পরিচিত। তবে প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে কারি পাতা।
এই পাতা ভিটামিনের একটি উৎস। চুলের যত্নে অনেকেই দামি হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, কারও ভরসা থাকে প্রাকৃতিক উপাদানে। আর সেই প্রাকৃতিক উপাদানের তালিকায় প্রথম সারিতেই উঠে আসে কারি পাতার নাম।
পাতার এতো উপকারিতা জানা থাকলে চুলে কে না দেবে, বলুন? জেনে নিন কীভাবে বানাবেন কারি পাতার প্যাক-
চুলের জন্য উপকারী কারি পাতা
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। এটি আপনার স্ক্যাল্পের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। তাছাড়া ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই চালায়। তাই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের প্রভাব পড়তে দেয় না। এতে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে। তাই তো চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈজ্ঞানিক প্রমাণও মেলে
বিভিন্ন গবেষণা মতে, এই পাতায় বিটা-ক্যারোটিনের সন্ধান মেলে। তাছাড়া এতে উপস্থিত প্রোটিন উপাদান চুল ঝরা কমাতে সাহায্য করে। এমন কী এটি আপনার চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অন্য দিকে টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুলের শাইন বাড়ায়। তাই কারি পাতা ও টক দইয়ের হেয়ার প্যাক লাগালে স্বপ্নের চুল পেতে সময় লাগে না।
কারি পাতা ও টক দইয়ের হেয়ার প্যাক
এই হেয়ার প্যাক বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে ১ কাপ কারি পাতা এবং পরিমাণ মতো টক দই। গ্রাইন্ডারে পরিমাণ মতো কারি পাতা নিন। সেটা ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে বানান ঘন মিশ্রণ। তারপর তাতে যোগ করুন টক দই। দুটি উপকরণ ভালো করে মেশানোর পরে বানিয়ে ফেলুন হেয়ার প্যাক।
কারি পাতা হেয়ার প্যাকের ব্যবহার:
প্রথমে চুল কয়েকভাগে ভাগ করে নিন। এবার হেয়ার প্যাক ব্রাশের সাহায্যে সেটি আপনার চুলে লাগান। অবশিষ্টাংশ স্ক্যাল্পেও লাগিয়ে নিন। তারপর অপেক্ষা করুন অন্তত ১ ঘণ্টা। এবার শ্যাম্পু করে নিন। সঠিক উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত ১ দিন এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন আপনি। তাতেই উপকার মিলবে।
উপকারিতা:
- চুল পড়া কমায়।
- চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
- স্ক্যাল্পের টক্সিন পরিষ্কার করে।
- চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।