কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পরিমাপক দপ্তরের হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি দুপুর বারোটা পর্যন্ত ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। কাজিপুরে বিপদসীমা ১৪. ৮০ মিটার- পানি সমতল-১৪.৭৪ মিটার। এদিকে এরইমধ্যে কাজিপুরের খাসরাজবাড়ী, তেকানি, চরগিরিশসহ নানাস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আর বন্যার পানি প্রবেশ করেছে অন্তত ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কাজিপুর শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, কাজিপুর সদর ইউনিয়নের পলাশপুর, শুভগাছা ইউনিয়নের শুভগাছা , বীর শুভগাছা, উত্তর শুভগাছা, আমন মেহার, বয়রাবাড়ি, তেকানি ইউনিয়নের চর আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শুভগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যহিত তাকায় আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা না করলেও কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। বীরশুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সাইদ জানান, বন্যার পানি আমাদের স্কুলে প্রবেশ করেছে। আমরা আসলেও কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে না। পলাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোকনুজ্জামান জানান, আমার বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে হাঁটু পানি। বিদ্যালয়ে প্রবেশের পুরো রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে না।
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আরও প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়বে। পাঠদানও বন্ধ করতে হবে। তবে শিক্ষকদের মৌখিক নির্দেশনা দেয়া আছে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করার দরকার নেই।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সার্বিক প্রæস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে এবং প্রাণিসম্পদ অফিস তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লাগুলো। সরকারিভাবে আমরা আজকেই বরাদ্দও পাবো। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।