সেবা ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’তে রূপ নিচ্ছে। ২৪ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
![]() |
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ধেয়ে আসছে দানব ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ |
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে জেগে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর শক্তি! বর্তমানে সেখানে অবস্থানরত লঘুচাপটি ইতোমধ্যে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘ডানা’, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরো শক্তি সঞ্চয় করে তীব্র আকার ধারণ করবে।
আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৩ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় 'আম্পান' যেভাবে স্থলভাগে আঘাত হেনেছিল, 'ডানা' তার অনুরূপ পথ অনুসরণ করবে। পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূল ঘূর্ণিঝড়ের মূল আঘাতের স্থান হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা এখন ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ। ইতোমধ্যেই সমুদ্রের মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের যেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে, সে জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর গতি ও শক্তি সম্পর্কে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সবাইকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব ও প্রস্তুতি:
১. ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতা।
২. উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা।
৩. বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয়।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
৫. আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।