সেবা ডেস্ক: ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলো। ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে সৌদি আরব, আমিরাত ও কাতার।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইসরায়েলকে ইরানি তেল স্থাপনায় হামলা থেকে বিরত রাখার আহ্বান
ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা করা থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারসহ উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই অঞ্চলে সংঘর্ষ বাড়লে তাদের নিজস্ব তেল স্থাপনাগুলোও ইরানের প্রক্সিগ্রুপগুলোর হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।
তিনটি উপসাগরীয় সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ইরান তাদের প্রক্সিগ্রুপগুলোর মাধ্যমে আঞ্চলিক তেল স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে, যা উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে, দেশগুলো চাচ্ছে তারা যেন ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে না জড়িয়ে পড়ে।
ইরানের আক্রমণ প্রতিহত করতে ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থানও নিয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ইরানকে হামলার জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গত ১ অক্টোবর, লেবাননের হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এর পর থেকেই ইরানে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানকে এই হামলার জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টও প্রতিশোধের আক্রমণকে ‘প্রাণঘাতী’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার এই সংঘাতে নিজেদের সম্পৃক্ত না করার চেষ্টা করছে, কারণ তারা জানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা জরুরি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।