সেবা ডেস্ক: ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো বৈধ এবং এটি মহানবী (সা.)-এর সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি |
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো সম্পূর্ণ বৈধ। এটি নারীদের সৌন্দর্যবর্ধন এবং গয়না পরার উদ্দেশ্যে একটি সংস্কৃতিগত প্রথা, যা ইসলাম অনুমোদন করেছে। শরিয়তে এর বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বরং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়কাল থেকে নাক-কান ফোঁড়ানো চলে আসছে।
একটি হাদিসে হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদ উপলক্ষে নারীদের দান-সদকা করতে বলেছিলেন, তখন অনেক নারী তাদের কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো দান করেছিলেন। এতে নারীদের গয়না পরিধানের অনুমতি পাওয়া যায়। (বুখারি: ৫২৪৯)
অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত করেছেন যে, এক নারী তার স্বামীর দেওয়া গয়নাগুলোর বর্ণনা দেন, যেগুলোর কারণে তার কান ভারী হয়ে যায়। এতে প্রমাণিত হয় যে, গয়না পরা এবং তার জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো সেই সময়কার নারীদের সাধারণ একটি বিষয় ছিল এবং ইসলামে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নাক-কান ফোঁড়ানোর সুবিধা:
- সৌন্দর্যবর্ধন: নারীরা গয়না পরিধান করতে পারেন যা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- ধর্মীয় অনুমোদন: মহানবী (সা.)-এর সময়ে এটি নিষিদ্ধ করা হয়নি বরং নারীরা নাক-কানে গয়না পরতেন।
- সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ: এটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে একটি প্রথা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
উপসংহার: নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে বৈধ, এবং তারা এটি গয়না পরার উদ্দেশ্যে করতে পারেন। এ সম্পর্কে হাদিস ও ইসলামের বিধান স্পষ্ট, এতে কোনো বাধা নেই।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।