সেবা ডেস্ক: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ইসকনের দায় অস্বীকার করলেও সনাতনীরা তা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে জাগরণ জোট।
চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর দায় ইসকন না নিলেও সনাতনীরা নেবে |
বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ৭টি মন্দিরে ভাঙচুর, ৭০টি ঘরবাড়ি লুটপাট, এবং ৪৫০ পরিবারের ঘরছাড়া হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “সাধু-সন্ত ও সংখ্যালঘুদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। চিন্ময় কৃষ্ণের দায় যদি ইসকন না নেয়, তবে সনাতনীরা তা নেবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। পাথরঘাটা লোকনাথ মন্দির এবং হাজারি গলি জয়মাতা কালী মন্দিরের বাইরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পটিয়ার ছনহরা বাসুদেব মুকুন্দ ধামেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৫০০ জনের বেশি সনাতনী আহত হয়েছেন।"
নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জাগরণ জোট। তারা উল্লেখ করে, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নির্বিকার ছিল। উল্টো নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে সনাতনীদের ওপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।”
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা বলেন, “অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে সাধারণ সনাতনীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
ইসকন বাংলাদেশ জানায়, তারা চিন্ময় কৃষ্ণের দায় নিচ্ছে না। তবে জাগরণ জোট বলেছে, “চিন্ময় কৃষ্ণের দায় দেশের সকল সনাতনী সম্প্রদায় গ্রহণ করবে। আমরা ইসকনের সঙ্গে এই আন্দোলনকে সম্পৃক্ত করিনি। এটি সাধারণ সনাতনীদের অধিকার আদায়ের লড়াই।”
বিবৃতিতে চট্টগ্রামের পতাকা বিতর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। “ওই পতাকাটি জাতীয় পতাকা ছিল না; তাতে তারকাখচিত চাঁদ ছিল,” বলা হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তারা আরও জানান, “আইনজীবী হত্যার পর আদালত ভবনের বিপরীতে সেবক কলোনীতে ৭টি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করা হয়েছে। ৪৫০টি পরিবার ঘরছাড়া। এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে।”
বিবৃতিতে জাগরণ জোট জানায়, “সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি জোরদার করব। অধিকার আদায়ে এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।