সেবা ডেস্ক: মার্ক জাকারবার্গের ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রাম নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে IFCN। ফ্যাক্টচেকিং বন্ধ হলে বিশ্বে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।
ফ্যাক্ট–চেক নিয়ে জাকারবার্গের দাবি মিথ্যা: আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক |
মেটার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রামগুলো রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং অতিমাত্রায় সেন্সরশিপের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (IFCN) তার এই দাবি মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাকারবার্গের অভিযোগ ও IFCN-এর প্রতিক্রিয়া
গত মঙ্গলবার জাকারবার্গ মেটার কনটেন্ট সম্পাদনা নীতিমালায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়ে অভিযোগ করেন যে, ফ্যাক্টচেকাররা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাক্টচেকারদের কারণে ভুল তথ্য প্রচারের পরিবর্তে অতিরিক্ত সেন্সরশিপ হচ্ছে।
এর জবাবে, বৃহস্পতিবার IFCN জানিয়েছে, “জাকারবার্গের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা ঐতিহাসিক রেকর্ড ও বর্তমান বাস্তবতার ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট করতে চাই।”
বিশ্বব্যাপী প্রভাব ও উদ্বেগ
IFCN আরও বলেছে, “বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম বন্ধ করলে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। ভুয়া তথ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সহিংসতা এবং গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।”
বিশ্বজুড়ে মেটার ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম বন্ধের ফলে বাস্তব ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে, যা সত্যিকারের মানবিক বিপর্যয় ঘটাতে পারে। IFCN মনে করে, ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন, বিশেষ করে এমন দেশে যেখানে ভুয়া তথ্য এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
বিশ্বে ফ্যাক্টচেকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম চালু রয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ করা। IFCN বলেছে, “এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করলে শুধুমাত্র ভুয়া তথ্যের প্রসার বাড়বে না, এটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপরও আঘাত হানতে পারে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।