সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। গুম ও নির্যাতনের তদন্তে উঠে আসছে ভয়াবহ চিত্র!
![]() |
বাংলাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর, গুম তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য |
বাংলাদেশে গুম, নির্যাতন ও অবৈধ আটককেন্দ্রগুলোর (আয়নাঘর) সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ (বুধবার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর) পরিদর্শন করেন। তার এই পরিদর্শনের বিষয়ে জানাতেই প্রেস উইং এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
🔎 আয়নাঘর: কীভাবে পরিচালিত হতো?
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এসব গোপন বন্দিশালা মূলত রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হতো। রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে গুম করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হতো। নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের স্বীকারোক্তি আদায়, ভয় দেখানো ও নিখোঁজ করে রাখার ব্যবস্থা করা হতো। আয়নার মতো চকচকে স্টিলের দেয়াল থাকায় এগুলোকে ‘আয়নাঘর’ বলা হতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে দুটি র্যাবের এবং একটি ডিজিএফআইয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন— ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধান ও আরও পাঁচজন সদস্য, গুমের শিকার আটজন ব্যক্তিসহ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী।
⚠️ দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গোপন বন্দিশালা
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে, প্রতিটি খুঁজে বের করা হবে। গুম কমিশনের তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্ত অনুযায়ী, এমন বন্দিশালার সংখ্যা কয়েক শ হতে পারে; যা ৭০০ থেকে ৮০০-এর মতো।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এমন আয়নাঘর ছিল, যেখানে মানুষকে গুম করে আটকে রাখা হতো।”
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও অপূর্ব জাহাঙ্গীরও সংবাদ ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।