শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভাগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসি।
তবে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের গাফলতিতে ও ঠিকমতো মেরামত না করায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এনিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনায় ওঠে আসলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রাাস্তাটিতে চলাচলকারীরা শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে রাস্কায় ধুলায় ধূসরিত আর বৃষ্টিতে কাদা-পানিতে সয়লাব থাকে। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী ও যানবাহনের চালকরা জানান, তুরারোডের ৩নং ব্রীজ সংলগ্ন সংযোগ সীমান্তবর্তী রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিনই রৌমারী উপজেলা,রৌমারী সদর ইউনিয়নের চান্দার চর, নওদাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, টহরাইপাড়া, খাটিয়ামারী সহ ৮াট গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার (২৮ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩ নং ব্রীজ হতে খাটিয়ামারী আব্দুল কাদের এর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এলজিইডির বরাদ্দের অর্থ দিয়ে পাঁকাকরণ করা হয়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের রহস্যজনক কারনে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তার কাজ না করেই ঠিকাদার চলে যান। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে পানি জমে কাদায় ভরে যায়। এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টি না থাকলে যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। আর বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে ভরে যায়। তখন গাড়ি উল্টে যায় সৃষ্টি হয় নানা ভোগান্তি।
নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, শুকনা মৌসুমে এ পথে হাঁটতে গেলে ধুলায় শ্বাসকষ্ট হয়। গাড়ি কাত হয়ে উল্টে যায়। আর সামান্য বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। সামান্য একটু জায়গার কাজ না করায় আমরা খুব কষ্ট করে যাতায়াত করছি
অটোবোরাক চালক গোলজার হোসেন জানান, এইটুকু রাস্তার পাঁকা না করায় কয়েকদিন আগে পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে যায়। আমরা বর্তমানে গাড়ি নিয়ে পারাপার হতে পারছি না।
অটোভ্যান চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই এই সড়ক দিয়ে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে চলাচল করি। রাস্তা এমন খারাপ অবস্থার কারনে গাড়ির যেমন ক্ষতি হয়, শিক্ষার্থীদেরও অনেক ভোতান্তিতে পড়তে হয়। দ্রæত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাই।
প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। সামন্য রাস্তার কাজ কেনো করছে না। বর্তমান এত বাজে রাস্তা কমই আছে। রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরী।
রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চার কিলোমিটার রাস্তা পাঁকা হয়েছে। অথচ এতটুকু রাস্তা কেনো করে নাই, তা জানিনা। তবে এনিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা হয়েছে এবং তিনি আশ^াস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ওই রাস্তাটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । যত তারাতারি সম্ভব মেরামত করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।