শফিকুল ইসলাম: রৌমার সীমান্তে নারীসহ ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে জোড় করে পুশইন করাকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। দু’দেশের সীমান্তের টহল জোরদার ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
![]() |
গুলির পর ড্রোন উড়াচ্ছে ভারতীয় বিএসএফ: রৌমারী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ মুখোমুখি-উত্তেজনা বিরাজ |
কৃষকদের পাঁকা ধান কাটতে বিএসএফের বাধা। গুলির পর দফায় দফায় ড্রোন উড়াচ্ছে বিএসএফের। পুশইন করা ভারতীয় নাগরিকদেরকে বড়াইবাড়ি ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে সীমান্তবাসিরা। অপরদিকে বিজিবি‘র পক্ষে প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি বিএসএফ।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী সীমান্তে ১০৬৭-১ এস আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের নিকট দিয়ে ৫ জন নারী ও খায়রুল ইসলাম নামের একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সহ ১৪ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় কাকরিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ। তারা ভারতীয় আসাম রাজ্যের নাগরিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
পুশইন করার সময়ে টহলরত বড়াইবাড়ি ক্যাম্পের বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি) ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এতে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ সহ ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গুলির ঘটনার পর পরই বিজিবির সদস্যরা শূন্যরেখায় অবস্থান নেন এবং সতর্ক অবস্থানে থাকেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজিবি’র পাশাপাশি গ্রামবাসিরাও সীমান্তে জড়ো হন। এ নিয়ে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দুদেশের জোয়ানদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বেলা পনে এগারোটার দিকে বিএসএফ ওই সীমান্তে দফায় দফায় ড্রোন উড়ায়। এঘটনায় সীমান্তবাসিরা তাদের জানমাল রক্ষার্থে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। অপরদিকে কৃষকরা তাদেও উৎপাদিত ফসল পাঁকাধান কাটতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ বাধা প্রদান করে।
ভারতীয় নাগরিক খায়রুল ইসলাম বলেন, আমাকে ২৩ মে বাড়ি থেকে জোর করে তোলে নিয়ে হাত-পা বেধে নির্যাতন করে স্থানীয় পুলিশ। পরে তারা আমাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ আমাদের মারপিট করে আমার প্রয়োজনী কাগজপত্র রেখে দেয় এবং আমাকেসহ ১৪ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। আমার স্ত্রী-পুত্র সন্তান সবে রয়েছে। তাই আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আঞ্জু মিয়া।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।