সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বকশীগঞ্জ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বিপ্লব সওদাগর।
![]() |
বকশীগঞ্জে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়ার ছবি অবমাননা, যুবদলনেতার সংবাদ সম্মেলন |
৩১ মে, শনিবার বিকালে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মাফি কাউন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লব সওদাগর বলেন, গত ৩০ মে, শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ছিল। তাই দিনব্যাপী শোক র্যালি, আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বকশীগঞ্জ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাতের ছবি সাঁটানো ছিল।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ৩০ মে বিকালে খবর পাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের ছবিগুলো দেয়াল থেকে খুলে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়েই দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। জানতে পারি আওয়ামী লীগের দোসর বাস মালিক সমিতির দুর্নীতিবাজ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলন ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এহেন ঘৃণিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানাই। রাতেই বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে কথিত সংবাদ সম্মেলন করে নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দেন মিলন ও আমিনুল ইসলাম।
আপনাদের আরও জানাচ্ছি যে, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগনেত্রী। ভবঘুরে মিলন নাজমুন্নাহারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। নাজমুন্নাহার ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগ কোঠায় বিসিএস ক্যাডার হন। এখন তিনি গোপালগঞ্জে এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি চাকরিজীবী স্ত্রীর অর্থে বেকার স্বামী মিলন এখন শত কোটি টাকার মালিক। স্ত্রীর জন্যে বেকার মিলনের কপাল খুলে যায়।
বিপ্লব সওদাগর বলেন, বর্তমানে মিলন নয়টি বাস ও দুটি প্রাইভেট কারের মালিক। তিনি এখন নিজস্ব প্রাইভেটকার দিয়ে চলাফেরা করেন। এছাড়াও ঢাকায় তিনটি আলিশান ফ্লাট এবং বকশীগঞ্জ টিকরকান্দিতে বিলাশবহুল বাড়ি ও অনেক জায়গা জমির মালিক হয়েছেন। এ যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মত অবস্থা। তার এত বিত্ত বৈভবের একমাত্র উৎস স্ত্রী এডিসি নাজমুন্নাহার। এ ঘটনায় দুর্নীতিবাজ মিলন ও আমিনুলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। মিলন এবং আমিনুলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।