Iran-Israel War: ইসরায়েলি জনগণ বিস্মিত—আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরেও এত ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত!

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0
22:42

ইসরায়েলি জনগণ বিস্মিত—আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরেও এত ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত!

ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের অনেক জায়গায় আঘাত হানার ঘটনায় দেশটির জনগণ হতবাক হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য লোকাল কল-এর সম্পাদক মেরন রাপোপোর্ট আল–জাজিরাকে বলেন— “ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এটি ‘প্রত্যাশিত’ বলে দাবি করলেও, বাস্তবতা হলো সাধারণ জনগণ ভীষণভাবে বিস্মিত যে এতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বড়।” রাপোপোর্ট আরও জানান, “কিছু হামলা কৌশলগত জায়গায় হয়েছে। তবে অনেক তথ্য এখনো জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি, সেন্সরশিপ কঠোর। যা জানাও যায়, তা প্রকাশে বাধা আছে।” তিনি মনে করেন, এই সংঘাতের একমাত্র সমাধান হতে পারে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি। তার ভাষায়, “ইরান আত্মসমর্পণ করবে না, শাসন পরিবর্তনের সম্ভাবনাও নেই, এবং ইসরায়েলও পিছু হটবে না। কাজেই আমার মতে, এই সংঘাত থামানোর একমাত্র রাস্তা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চুক্তি।” এই বক্তব্য ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ হতাশা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। একইসঙ্গে এটি পশ্চিমা কূটনীতিকদের জন্য একটি বার্তা—সমস্যার সামরিক সমাধান সম্ভব নয়, প্রয়োজন টেকসই কূটনৈতিক উদ্যোগ।

22:42

৪৮ ঘণ্টায় ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ইরান: দাবি সীমান্তরক্ষীদের

ইরান দাবি করেছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তাদের আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করা ইসরায়েলের ৪৪টি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে। ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার আহমাদ আলি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের চালানো একের পর এক ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার হামলা আমরা সফলভাবে প্রতিহত করেছি। ইরানের আকাশসীমায় কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ্য করা হবে না।” এই তথ্য ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বরাতে জানিয়েছে আল-জাজিরা। বর্তমানে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চরমে উঠেছে। উভয় পক্ষ থেকে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ৪৪টি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এটি যেমন ইসরায়েলকে একটি সতর্ক সংকেত, তেমনি গোটা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকেও করে তুলছে আরও জটিল ও উদ্বেগজনক।

22:42

ইরানে হামলার আগে ট্রাম্পকে জানানো হয়েছিল: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর আগে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছিলেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান। নেতানিয়াহু বলেন, “বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা নজিরবিহীন। আমরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করি।” তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানের ফলাফল হিসেবে ইরানে ‘শাসন পরিবর্তন’ হতে পারে। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয় ‘ডি-এস্কেলেশন’ বা ‘যুদ্ধবিরতি’ নয়—মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানকে থামানো। ইরান শুধু ইসরায়েলের নয়, বরং উপসাগরীয় দেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।” নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য শুধু ইসরায়েল-ইরান সংঘাতকেই তীব্র করে তুলছে না, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। ট্রাম্পের সঙ্গে পূর্ব যোগাযোগের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও আলোড়ন তুলতে পারে।

22:30

ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ে ‘শান্তি আশা’ ম্যাক্রোঁর, পরমাণু সংকট এড়াতে আলোচনার আহ্বান

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান যুদ্ধাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আশা করেছেন। গ্রিনল্যান্ড সফরের সময় তিনি বলেন, “আশা করছি, সামনের কয়েক ঘণ্টা শান্তির পথ উন্মুক্ত করবে এবং এমন একটি আলোচনা শুরু হবে যা পরমাণু উত্তেজনা ও সংঘর্ষ এড়াতে সহায়ক হবে। ইরানে পরমাণু সক্ষমতা অর্জন বন্ধ রাখা এবং গোটা অঞ্চলে অশান্তি প্রতিরোধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, “আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই এই ইস্যুতে আমি G7 নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পাবো।” উল্লেখ্য, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে G7 সম্মেলন, যেখানে বিশ্ব নেতারা এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ইতোমধ্যে পরমাণু চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে এপ্রিল থেকে পাঁচ দফা আলোচনা করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য ২০১৫ সালের চুক্তির মতো একটি সমঝোতায় পৌঁছানো। ম্যাক্রোঁর এই বার্তা এমন এক সময়ে এল যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি হামলা পাল্টা হামলা চলছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট শান্তি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বিশ্বের প্রতি যে আহ্বান জানাচ্ছেন, তা এই সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

19:01

ইসরায়েল ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যুক্তরাজ্য

ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণ না করার কড়া নির্দেশনা দিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর (Foreign Office) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "সব ধরনের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে", কারণ পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং যেকোনো সময় আরও খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে। এই সতর্কতা আরও কঠোর করা হলো, কারণ মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাজ্য 'প্রয়োজনীয় ভ্রমণ ব্যতীত সব ভ্রমণ' নিষিদ্ধ করেছিল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে এবং এটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এই সংঘাত আরও গভীর ও বিস্তৃত হয়ে যেতে পারে খুব দ্রুত এবং কোনো সতর্কতা ছাড়াই।” এদিকে, গত তিন দিন ধরে ইসরায়েল থেকে কোনো বিমান যাওয়া-আসা করতে পারছে না, কারণ দেশের আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আটকে পড়েছেন অনেক বিদেশি নাগরিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে—তা স্পষ্ট করে দেয়। অন্য দেশগুলোরও এখন একই পথে হাঁটার সম্ভাবনা রয়েছে।

04:18

ইসরায়েল সরকারের উপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে যাচ্ছে!

ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের জনগণ ক্রমেই তাদের সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। সামরিক প্রতিক্রিয়ার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও, যুদ্ধ পরিচালনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে গভীর উদ্বেগ ও সন্দেহ। ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “জনগণের মধ্যে একটা ব্যাপক ধারণা জন্মেছে—কেউ তাদের দেখভাল করছে না। সবাই যেন একা। সরকার শুধু প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো বাস্তব পরিকল্পনা নেই।” তিনি আরও বলেন, “যদিও বেশিরভাগ ইসরায়েলি মনে করেন, ইরানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো উচিত, কারণ ইরান ইসরায়েল ধ্বংস করতে চায়—এটাই সরকারি বর্ণনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামাতে পারছে না এবং শাসনব্যবস্থাও বদলাবে না।” এমনকি ইসরায়েলের রাজনীতিবিদদের নিয়েও জনগণের মধ্যে রসিকতা শুরু হয়েছে—অনেকে মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতারা এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। গোল্ডবার্গের ভাষায়, “এখন ইসরায়েলিরা নিজেদের রক্ষায় নিজেরাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরকার যে মূল্যায়ন ও পূর্বাভাস দিচ্ছে, তাতে তাদের আর কোনো আস্থা নেই।” এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, শুধু বাহ্যিক যুদ্ধ নয়—ইসরায়েলের ভেতরেও সরকারের প্রতি আস্থার সংকট গভীরতর হচ্ছে। যুদ্ধের চেয়েও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—‘জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?’ মেটা বিবরণ (Meta Description): ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমছে। নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত মূল্যায়ন নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে গভীর সন্দেহ।

03:18

ইসরায়েলের গ্যালিলিতে আহত ১৪, নতুন নির্দেশনা

ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের গ্যালিলি এলাকার পশ্চিমাঞ্চলে একটি দোতলা ভবনে ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা এমডিএ। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের হাইফা শহরের পাশে ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এদিকে ইরান থেকে নিক্ষেপ করা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বাসিন্দাদের সুরক্ষিত স্থানে যেতে যে আদেশ জারি করেছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন হালনাগাদ আদেশে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে বাসিন্দারা চাইলে সুরক্ষিত স্থান ছেড়ে যেতে পারবেন। তবে আশপাশে থাকতে হবে।

02:29

এক ঘণ্টায় ১০টি ইসরায়েলি বিমান ও ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইরানের

এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) রাত ১২টার দিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। ইরানি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক ঘণ্টায় বিভিন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের যৌথ অভিযানে ১০টি শত্রু বিমান শনাক্ত ও গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এসব বিমান ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও হামলাকারী ড্রোন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গুলি করে নামানো ড্রোনগুলো দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আকাশে সক্রিয় ছিল এবং তারা ইরানের কৌশলগত স্থাপনার ওপর নজরদারি ও হামলার চেষ্টা করছিল। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ভোর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র মজুদাগার, দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। হামলায় নিহতদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তা, আইআরজিসি প্রধানসহ বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও আছেন। হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।

02:25

ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে কোনো ক্ষতি হয়নি—IAEAি

ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পারমাণবিক তদারকি সংস্থা আইএইএ (IAEA)। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার মধ্যে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়লেও সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট এবং নির্মাণাধীন খন্ডাব হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টর সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। IAEA প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমানে আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ফোরদো ও খন্ডাবে কোনো ক্ষতি দেখা যায়নি। নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনাতেও গতকালকের পর নতুন করে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।” এ বিবৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আশঙ্কা কিছুটা কমলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে সংস্থাটি বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

01:48

ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা: বোমা হামলার আশঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্রের থাকার নির্দেশ

চরম উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশজুড়ে জনগণকে সতর্ক করেছে—পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে নিকটবর্তী সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্রের পাশে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) এ নির্দেশনা জারি করেছে এমন সময়ে, যখন ইরান থেকে বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সতর্কতা সারা দেশে কার্যকর করা হয়েছে, যার ফলে রাজধানী তেলআবিবসহ সব শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নাগরিকদের জীবন রক্ষা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, এবং পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হতে পারে, এবং জরুরি অবস্থা পরিস্থিতির দিকে দ্রুত এগোচ্ছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

01:48

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলকে কড়া প্রতিবাদ

ইরানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের চলমান হামলায় ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করা হচ্ছে—এমন অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরাকি সরকার। ইরাকের সেনাবাহিনীর প্রধানের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ইরাকি বার্তা সংস্থা (INA) জানায়, ইরাক সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং সেটিকে ব্যবহার করে ইসরায়েল কর্তৃক ইরান বা অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। মুখপাত্র বলেন, “এই কর্মকাণ্ড অবৈধ এবং ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব কার্যক্রমের ফলে পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ছে।” ইরাক সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

01:32

ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের ফোনালাপ

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ (IRNA)। ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, "আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছি। কিন্তু সিয়োনিস্ট শাসন (ইসরায়েল) বারবার এই প্রচেষ্টা নষ্ট ও ব্যাহত করেছে।" ২০২৩ সালে দীর্ঘ শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে সৌদি আরব ও ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে। এর পর থেকে রিয়াদ ও তেহরানের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

01:19

ট্রাম্পের বার্তা: “ইসরায়েল-ইরানের এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, “এই ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত—পুতিন যেমন মনে করেন, আমিও তাই বিশ্বাস করি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি পুতিনকে বলেছি, আপনার যুদ্ধও শেষ হওয়া উচিত।” এই মন্তব্যে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে দুইটি প্রধান যুদ্ধ—ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ—দুইটিই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প এই ধরনের আন্তর্জাতিক বার্তা দিয়ে কূটনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে চাইছেন।

01:00

ইসরায়েলে শিগগিরই ভয়াবহ হামলার হুমকি ইরানের

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে। আল–জাজিরার বরাতে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে। খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ব্যাপক পরিসরে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং এই হামলা যেকোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। ইরানের এমন ঘোষণায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পাল্টা হামলা শুধু ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

00:57

যুক্তরাষ্ট্রের আশাবাদ—"ইরান শিগগির আলোচনায় ফিরবে

যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ওমানে আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়েছে। এসোসিয়েটেড প্রেস (AP) কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, “আলোচনা বাতিল হলেও আমরা এখনো আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করছি ইরান শিগগিরই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসবে।” তবে কূটনৈতিক বিষয়ে কথা বলায় তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন। এর আগে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদি বলেছিলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার প্রেক্ষিতে ষষ্ঠ দফার আলোচনাটি আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, “স্থায়ী শান্তির জন্য একমাত্র পথ হলো কূটনীতি ও সংলাপ।”

00:44

ইস্ফাহানের তাবরিজে বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে

ইস্ফাহানের তাবরিজে বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে

ইরানের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের নতুন হামলার জেরে সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইএনএন (IRINN) জানিয়েছে, তেহরান, ইসফাহান, তাবরিজ এবং বান্দার আব্বাসে একযোগে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট সক্রিয় করা হয়েছে। এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা ইরানের উপর নতুন এক তরঙ্গ আক্রমণ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। ইরানের বিভিন্ন স্থানে এই মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হলেও ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। মেটা বিবরণ (Meta Description): ইসরায়েলের নতুন আক্রমণে ইরানের তেহরান, তাবরিজ, ইসফাহান ও বান্দার আব্বাসে সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে শহরগুলো।


সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top