কুড়িগ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

S M Ashraful Azom
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক চর ও দ্বীপচর। এ সব এলাকার শতাধিক গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরের তিনটি, উলিপুরে চারটি, চিলমারীতে পাঁচটি, রাজিবপুরে তিনটি ও রৌমারী উপজেলার চারটিসহ ১৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এ সব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে ৫ হেক্টর জমির মৌসুমি সবজিক্ষেত ও আমন বীজতলা। জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শকনপূর্বক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নূন খাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৫ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও জানান তিনি। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, গত দু’দিনে তার ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একই ইউনিয়নের চরপার্বতীপুর গ্রামের মোকছেদ আলী বলেন, ‘বাড়ির চারদিকে পানি ওঠায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাইরে বের হতে পারছি না। পানি আরও বাড়তে থাকলে বিপদে পড়ব।’ সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক শ্যামল দাস বলেন, ‘আমার ১ একর জমির পটোলক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্ষেত থেকে আর কোনো পটোল তুলতে পারব না। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।’

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top