রাজধানীর মগবাজার থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২৪ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি ও একটি আয়তকার কষ্টিপাথর উদ্ধার উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-এমকে রেজাউল ইসলাম ওরফে হাবিবুর রহমান (৪১), মো. মিঠু শেখ (৪০), মো. সুরুজ আলী (৬৫) ও হাসেম মিস্ত্রি (৬৫)।
আজ বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও বিকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যকে নিশ্চিত করে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, বুধবার সকাল নয়টার সময় র্যাবের একটি দল মগবাজার ওয়্যারলেস রোডের টিএন্ডটি কলোনি ওয়াসা পানির পাম্পের বাসা থেকে আনুমানিক এক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২৪ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি ও একটি আয়তকার কষ্টিপাথর উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়ির এমকে রেজাউল ইসলাম ওরফে হাবিবুর রহমান, মো. মিঠু শেখ, মো. সুরুজ আলী ও হাসেম মিস্ত্রিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা একই দলে কাজ করে। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত।
র্যাব জানায়, তারা তিন স্তরে কাজ করে। প্রথম স্তরে দেশের গ্রাম-গঞ্জে তাদের এজেন্ট ছড়িয়ে রয়েছে। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া এসব পুরাকীর্তি ও প্রত্নতাত্তিক সম্পদ সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় গ্রুপে কাজ করেন সুরুজ আলী ও হাসেম মিস্ত্রি। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া এসব পুরাকীর্তি এজেন্টের নিকট সংগ্রহ করে তৃতীয় গ্রুপটির কাছে পৌঁছে দেয়। তৃতীয় গ্রুপে কাজ করে রেজাউল ও মিঠু শেখ। রেজাউল ও মিঠু শেখ দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে সংগৃহীত পুরাকীর্তি বিক্রির ব্যবস্থা করে থাকেন। পরবর্তী সময়ে বিক্রয়কৃত টাকা সবার মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানান, উদ্ধারকৃত এই কষ্টিপাথরের মূর্তি ও আয়তকার কষ্টিপাথরটি তারা ময়মনসিংহ জেলা ফুলপুর থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। এই কষ্টিপাথরের মূর্তিটি বিক্রয়ের জন্য তারা এক কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওই মূল্যের ক্রেতা না পাওয়ায় কামরুলের বাসায় রাখা হয়।
র্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মেজর মাকসুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।